
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর মুজগন্নীতে গ্রামীন ঐতিহ্যকে পরিচয় করিয়ে দিতে চলছে সাত দিনব্যাপী ঈদ মেলা। এই ঈদ মেরার আয়োজন করেছে মুজগুন্নী ইউনাইটেড ক্লাব। মঙ্গলবার ঈদের চতুর্থ দিন ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে মেলা। মেলায় রয়েছে চরকী, নাগরদোলা ও শাম্পানসহ ২শ’টিরও অধিক স্টল। মেলায় বায়োস্কোপ দেখাচ্ছেন হুরমত নামে এক বৃদ্ধ। ওই বায়োস্কোপ ঘিরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জটলা। বই-পুস্তক বা টিভির পর্দায় দেখা বায়োস্কোপ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পেয়ে কিশোর-তরুণদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
মেলায় ঘুরতে আসা সাদি নামে এক যুবক বলেন, শুনেছি এবার ১৯০তম মেলা হচ্ছে। প্রতিবছরই আসি। এ বছরও তাই আসলাম। মেলায় বায়োস্কোপ ঘিরে অন্যরকম উচ্ছ্বাস। এক সময় গ্রামের পথে পথে কাঁধে বাক্স নিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে বায়োস্কোপওয়ালা ঘুরতেন। গ্রামের শিশুরা ছুটতো তার পেছন পেছন। সেই বায়োস্কোপ মেলায় দেখতে পেয়ে সবাই দেখতে আসছে।
১০ শ্রেনির ছাত্রী শায়না নেওয়াজ বলেন, বাবা-মায়ের মুখে শুনেছি এই বায়োস্কোপের কথা। এখানে এসে যে সেই বায়োস্কোপ দেখতে পাব ধারনাই করতে পারিনি। তাই বায়োস্কোপ দেখার লোব সামলাতে পারলাম না। বান্ধবীরাসহ দাঁড়িয়ে পড়লাম বায়োস্কোপ দেখতে।
তবে ঈদ মেলায় এবার বেশি আকর্ষণ কসমেটিকস ও গৃহস্থালির দ্রব্যাদি। ওইসব পণ্য কিনতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ। বেড়ানোর জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেকেই এসেছেন মেলায়। অনেকে শুধু ঘুরতে একাই মেলায় এসেছেন। তারা পছন্দের কসমেটিকস ও ঘর সাজাতে গৃহস্থালির জিনিসপত্র কিনছেন। আর নাগরদোলা ও চরকিসহ বিভিন্ন রাইডে বিনোদন নিচ্ছে শিশুরা।
বায়োস্কোপওয়ালা হুরমত বলেন, আমার বাড়ি ফরিদপুরের মোকসেদপুরে। মেলা উপলক্ষে এখানে আসা। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে-ঘুরে এই বায়োস্কোপ দেখাই। যেখানেই যাই ভালো সাড়া পাই। বিশেষ করে শহরে। এখনকার ছেলে-মেয়েদের এই বায়োস্কোপের ওপর অনেক আগ্রহ। পাশাপাশি বড়দেরও দৃষ্টি কাড়ে এটি। গ্রামীন এই ঐতিহ্যকে নাগর জীবনে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে খুব ভালো লাগে আমার।