মোঃ এজাজ আলী : তরমুজ, বাঙ্গি, সফেদা, পেয়ারা, কলা, পেঁপে, আতা, লেবু, বেল, শশা, কিরাই, আনারস, লেবু, ডাবসহ বাহারি হরেক রকম সতেজ ফলের সমাহার। নগরীর হেলাতলা মোড়ে মিলছে এসব বিষমুক্ত ও বাহারি সতেজ ফলের সমাহার। ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ভাসমান দোকানগুলোয় বিভিন্ন দেশি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখান থেকে তাজা ফল কেনা যায়। কেননা এখানে ফল আসে খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন গ্রাম থেকে। নতুন ওঠা দেশি ফলের দাম চড়া হলেও ইফতারে একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই তা কিনছেন। তবে দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে পারছেন না। এরপরও অনেকে ইফতারের সময় একটা কি দুটো ফল রাখার চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বাজার সংলগ্ন হেলাতলার মোড়ে প্রায় ১৫-২০টি অস্থায়ী ফলের দোকান বসেছে। চৈত্রের প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে রোজাদাররা এসব ফল কিনছেন। রমজানে পানিশূণ্যতা, লবনশূণ্যতা ও বদহজম যাতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হচ্ছে বেশি সবাইকে। গরমকালের প্রতিটি ফলে রয়েছে পুষ্টিগুন, যা শরীরের জন্য উপকারী। সারাদিন সিয়াম সাধনার পর দিন শেষে তাই ভাজা পোড়া পরিহার করছেন সতেজন রোজাদাররা। অনেকেই ঝুঁকছেন তাজা ফলমূলের দিকে। বিশেষ করে দেশি ফল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ বলেন, খুলনার কোথায়ও দেশি ফল আসলে আগে হেলাতলার মোড়ে পাওয়া যায়। তাই নতুন কোনো ফল কিনতে হলে এখানে আসি। টাটকা ও সতেজ ফল এখানে পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে ফল কিনে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। ফল বিক্রেতা আসিফ সরদার বলেন, এখানে বেঁচাকেনা ভালোই হচ্ছে। পেঁপে ৮০ টাকা কেজি, আতা ১২০ টাকা কেজি, বেল আকারভেদে ৫০-১০০ টাকা। মোঃ সুজন নামে এক ফল বিক্রেতা বলেন, রমজানে কলা, পেঁপে, বেল, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ও খিরাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব ফলে কোনো ফরমালিন দেওয়া হয় না। জাকির নাামে এক কলা বিক্রেতা জানান, এখানে অন্যান্য বাজারের তুলনায় কলা একটু স্বস্তায় পাওয়া যায়। ভালো সাইজের সবরি কলা ৬০-৮০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। তবে দুধসাগর কলা ১০০-১১০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা কলাও এখানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত