আধুনিক খুলনার রূপকার তালুকদার আব্দুল খালেক
জন্মভূমি রিপোর্ট
গতকাল ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দ্বিতীয় মেয়াদের তৃতীয় বছরপূর্তি। ২০১৮ সালের এই দিনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। তার আগে তিনি ২০০৮ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে প্রথমবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথমবার দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় তিনি খুলনাকে আধুনিক ও তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। যা অনেকগুলো বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে পুনরায় ক্ষমতায় না আসায় মহানগরী খুলনার উন্নয়ন কর্মকা- থেমে যায়। গতি হারায় আধুনিক খুলনা গড়ার উন্নয়নের চাকা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবারও জনতা তাকে নির্বাচিত করে খুলনা গড়ার গুরু দায়িত্ব দেয়। তার পর থেকে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ট বিশ^স্ত ব্যক্তি হওয়ায় অবহেলিত খুলনার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সরকার প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে নগরীর পয় নিস্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক উন্নয়নসহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। যে গুলো একনেকে অনুমোদনের পর পর্যায়ক্রমে অর্থ ছাড় হচ্ছে। এ সব প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। যা বাস্তবায়িত হলে খুলনা হবে দেশের অন্যতম আধুনিক নগরী।
২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের দিন তিনি বলেছিলেন, দলীয় হোক আর কেসিসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হোক অন্যায় আব্দার নিয়ে আমার সামনে আসবেন না। যারা এ সমস্ত করেন তারা যেনো ছত্রিশ হাত দূরে থাকেন। তার পর থেকে কেসিসিতে ফিরেছে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা। একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সাহসী ওই উক্তি সকলকে সতর্ক করে দেয়। যে কারণে আজ কেসিসির সকল স্তরে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা। সকল কাজ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণমূলক। একজন নগর পিতা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলেছেন নগরীর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। বিশেষ করে ২০২০ সালে বিশ^ব্যাপী মহামারী করোনা শুরু হলে হাতে গোনা কয়েকজন রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজসেবক অসহায়, নিরন্ন মানুষের পাশে ছিলেন, সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। মূলত: খুলনাঞ্চলে করোনা প্রতিরোধ ও নাগরিকদের সচেতনতা সৃষ্টির মূল কাজটি হয় তার নেতৃত্বে। যা সর্ব মহলে প্রশংসিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ছুটে চলেন।
ইতোমধ্যে তার হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম নিজের অজান্তে শরীরে ব্যাধি হিসেবে বাঁধ সাধে। চলতি বছরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রায় ২ মাস ধরে খুলনা এবং ঢাকা সিএমএমএইচে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজন জনদরদী নেতা হিসেবে হাসপাতালে বিছানায় থেকেও সার্বক্ষনিক খোঁজ নিয়েছেন নগরীর উন্নয়ন সার্বিক বিষয় নিয়ে। বলতে গেলে নিজের জীবনকে তিনি তুচ্ছ করে চলেছেন নগরবাসীর সেবার জন্য। তার এই অদম্য স্পৃহা আগামী খুলনার অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আজ চতুর্থবর্ষে পদার্পণে দৈনিক জন্মভূমিও তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তার এগিয়ে চলা পথ আরও সুন্দর হোক এইটাই আমাদের কামনা।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত