
মোঃ মোস্তফা কামাল, লোহাগড়া : নড়াইলের সদর উপজেলার নারায়ণপুরে একটি ভিটায় দু’পাশে সারি সারি দশটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহরের ঘরগুলোতে বসত করছেন গৃহহীণ দরিদ্র মানুষেরা। সেই সাথে ঘরের চারপাশে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের পতিত জায়গায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় বস্তা পদ্ধতিতে নানান রকম সবজি চাষ করেছেন তারা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঢুকতে দেখা যায় সারিবদ্ধ দু’পাশের ঘরগুলোর মাঝের ফাঁকা অংশে নেট দিয়ে বানানো হয়েছে মাচা। মাচায় ঝুলছে লাউ, কুমড়া, শশা, করলা, ধুন্দল, পুইশাক, বরবাটিসহ লতানো জাতীয় বিভিন্ন ধরনের সবজি। প্রত্যেকটির গাছের গোড়া রয়েছে একটি করে বস্তায়। বস্তা পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে অল্প জায়গায় অধিক সবজির চাষ করা হচ্ছে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দারা জানান, তাদের আগে থাকার জায়গা ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। একই সাথে কৃষি বিভাগের সহায়তায় আঙিনায় সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ও কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
এদিকে জেলার লোহাগড়া উপজেলার কালনা আশ্রায়ন (গুচ্ছ গ্রামে) ও বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা।
আশ্রয়নের বাসিন্দা নাসরিন জামান, রাজিয়া হাসান বিউটি বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সবজি বিক্রি করে অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছি।
পরিবেশবাদি যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েসের নড়াইলের সমন্বয়ক শরিফুজ্জামান বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিএম জাহিদ শাকিল বলেন, অল্প জায়গাতে কিভাবে সবজি চাষ করা যায় সে ব্যাপারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের উৎসাহিত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পাশে রয়েছে। পরবর্তী মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি আশ্রয়ণে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হবে। এতে একদিকে যেমন পতিত জমির স্বদব্যাবহার হবে তেমনি আশ্রয়ণবাসীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে বাড়তি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্ববলম্বী হবে।