হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইল পৌরসভার নড়াইল গ্রামের খসরু সিকদার ওরফে গাজা খসরু’র বিরূদ্ধে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গাজা খসরু নড়াইল গ্রামের মুজিবর চৌকিদারের ছেলে।
নড়াইল সদর থানা এবং অভিযোগকারি নড়াইল পৌরসভা এলাকার কুড়িগ্রামের ভুক্তভোগি রিফাত ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৯ মে) বিকেলের দিকে রিফাত বর্গাচাষী গাজা খসরু’র বাড়িতে তাদের জমির ধান আনতে যান। রিফাত তাদের বাড়িতে যাওয়া মাত্রই মাদকাসক্ত খসরু রাগান্বিতস্বরে ধান দিতে পারবো না বলে তেড়ে এসে রিফাতকে লাঠি দিয়ে মারপিঠ করে। এরপর ধারালো বটি নিয়ে কোপাতে উদ্যত হলে রিফাত দ্রুত সরে পড়ে। এ সময় গাজা খসরু’র স্ত্রী খসরুকে বাঁধা দিলে খসরু নিজের স্ত্রীকে অশ্লিল গালি দিয়ে বলে গাজা খসরু কোন দিন জমির বর্গা ভাগ কোন জমির মালিককে দেয় না। এসময় লোকজন এসে রিফাতকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় রিফাত নড়াইল সদর থানায় গাজা খসরু’র বিরূদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়,গাজা খসরু ইতোপূর্বে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামের পুলিশ অফিসার এনামুল হকের (ওসি এনামুল হক) নড়াইল মৌজার ধানি জমি লিজ নিয়ে লিজের টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানায় এবং দূর্ব্যবহার করে। এমনকি তাকে হুমকি দিয়েছিল তার জমি জবর দখল করে নিবে। একজন পুলিশ অফিসার হয়েও বাধ্য হয় তার বিরূদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে। থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পুলিশ অফিসার (ওসি এনামুল হক) এনামুল হক লিজের টাকা উদ্ধার করেন। অথচ গাজা খসরু একাধিকবার ওসি এনামুল হকের নিকট হতে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। বউ সন্তান নিয়ে না খেয়ে আছে,বাজার করার কোন সংগতি নাই,এসব কথা বলে কাকুতি মিনতি করে বার বার ওসি এনামুল হকের নিকট হতে সাহায্য নিয়ে তার সাথেই করেছে খারাপ ব্যবহার। নেশাখোর খসরু’র খারাপ আচরনে এলাকার লোকজন অতিষ্ট। ছাগল,গরু ,জমির ফসল সহ অন্যান্য মালামাল হারানোর ভয়ে কেউ কিছু বলে না। এ কারনে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায় গাজা খসরু সারাক্ষণ নেশার ঘোরে থাকে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, নিজেকে সেই দলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। অধিকাংশ সময় তাকে নড়াইল-মুলিয়া সড়কে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। প্রায়ই ওই এলাকায় চুরি ছিনতাই ও অজ্ঞাত দস্যুতার ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষ করে বনগ্রাম মুলিয়া এলাকার হিন্দুরা চরম আতংকে থাকে। এলাকার চিহিৃত মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীদের সাথেই তার সার্বক্ষনিক উঠাবসা। তাছাড়া বিপথে বিত্তশালী হওয়া ভদ্রবেশি চিহিৃত টাউটদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় অনাকাংখিত ঝামেলার ভয়ে গাজা খসরুকে ওই এলাকার লোকজন এড়িয়ে চলে। এলাকার লোকজন তার সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বিকার করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। ভবিষ্যতে যেন সে এরকম আর কারো সাথে সন্ত্রাসী আচরন না করে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।