
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লী গ্রামের রুহুল কুদ্দুস খান (৭৩) কে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি দীর্ঘ ৮ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
তাকে গ্রেফতারের সংবাদ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নানামুখি আলোচনা সমালোচনার ঝড় বাইছে।
পুলিশের এন্টিটেররিজম ইউনিট অভিযান চালিয়ে তাকে বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এন্টিটেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস খান ওরফে নড়াইল সদরের পেড়লী গ্রামের মৃত মৌলভি আসাদুজ্জামানের ছেলে। তিনি যশোর শহরে বসবাস করতেন এবং যশোর জেলা জজ আদালতের এ্যাডভোকেট।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় এর মামলায় রুহুল কুদ্দুস খানের বিরূদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে তার অনুপস্থিতিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত। ৮ বছর পলাতক থাকার পর এন্টিটেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৯ জুন) দুপুর ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে যশোর শহরের ঝুমঝুমপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা তাকে গ্রেফতার করেন।
এন্টিটেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমা আরোও বলেন, ‘ রুহুল কুদ্দুসকে আদালতের মাধ্যমে নড়াইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হবে।’
এদিকে রুহুল কুদ্দুসের গ্রামের বাড়ি পেড়লী গ্রামে গেলে এলাকার লোকজন জানান, তিনি স্থায়ীভাবে যশোর শহরে নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করতেন। এলাকায় যেতেন খুব কম। ৯০ দশকের দিকে তিনি জামায়াত ইসলামী দলের মনোনয়ন নিয়ে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকা ও এলাকার মানুষের সাথে ও গ্রামে থাকা ভাইদের সাথে যোগাযোগ না থাকায় এলাকার মানুষ তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। নতুন প্রজন্মের কেউ তাকে চেনে না। যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তর কেউ সরাসরি দিতে না চাইলেও তিনি খারাপ মানুষ ছিলেন,এমন কথা কেউ বলেননি। তবে যশোরে জামায়াত ইসলামী দল করতেন বলে জানিয়েছেন অনেকেই।