রেজাউল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলার শিমুলিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাকিবুরের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাযর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছেন ওই অধ্যক্ষ। এ বিষয়ে মুখ খুললেই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করা হয় শোকজ। সরেজমিনে ওই কলেজে গেলে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের বক্তব্যে বেরিয়ে আসে তাকিবুরের স্বরূপ। এলাকাবাসীর পক্ষে জাহাঙ্গীর মিনা বলেন, দক্ষিণ নড়াইল শিমুলিয়া মহাবিদ্যালয়টি আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। অধ্যক্ষ কাজি তাকিবুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জাড়িত। সে তার মন গড়া পকেট কমিটি বানিয়ে নিয়োগ বানিজ্য সহ শিক্ষকদের প্রমোশন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। দিন দিন তার সেচ্ছাচারীতায় ধ্বংস হতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি এলাকাবাসীর। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, অনলাইন অডিটের কথা বলে ৫ শত টাকা করে নেন অধ্যক্ষ তাকিবুর। তবে চাকুরী হারানো বা শোকজের ভয়ে অনেকে ক্যমেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করা এবং না দিলে শোকজ করার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত জিম্মি করে রাখা হয়েছে তাদের। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের অফিসের বিভিন্ন বরাদ্দও আত্নস্বাৎ করাসহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, আমার প্রমোশন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাহারুল সর্দারের মাধ্যমে অধ্যক্ষ কাজি তাকিবুর রহমান আমার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। অতঃপর জানাজানি হলে আমার বংশের লোকজন চাপ দিলে আমার টাকা ফেরত দেয়। প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্যা জানান, অধ্যক্ষ কাজি তাকিবুর রহমান ও সাবেক সভাপতি আসিষ কুমার বিশ্বাসসহ দু’জনের স্বেচ্ছাচারিতায় কলেজ আজ ধ্বংসের মুখে। এবিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম, কিন্ত সভাপতি আসিষ কুমার বিশ্বাস আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কাজি তাকিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মঙ্গলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু অসাধু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ও ৮ নং কলোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বিশ্বাসকে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।