মো: বাবর আলী, কালিয়া : কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে জেলার কালিয়া উপজেলার খরড়িয়া-যাদবপুর খেয়া ঘাট এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয় বলে কালিয়া থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান।
আহত মোবাশ্বের হোসেন ভূঁইয়া (৫২) উপজেলার পাঁচগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার খরড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনায় আহতের ভাগ্নে মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কিবরিয়া গাজী, রাসেল গাজী, রাজীব গাজী, মামুন গাজী লাহু গাজী, আলফাজ গাজী,সাবু গাজীর নাম উল্লেখসহ ১৮ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে এজাহার করেছেন।
আহতের পরিবার থেকে জানা যায়, গতকাল রাত ১১দিকে যাদবপুর গ্রামে সাউন্ড বক্স বাজানোর কারনে একই গ্রামের টিপু ভূঁইয়ার ছেলে রুমি ভূঁইয়াকে অতর্কিত মারধর করে কিবরিয়া গাজীর ছেলে রাজীব।
এ ঘটনায় পরদিন ভোরে রাজীবকে পাল্টা মারধর করেন ভূইয়া বাড়ির লোকজন।
পরবর্তীতে কিবরিয়া গাজীর নেতৃত্বে ১০-১২জন ওই প্রধান শিক্ষকের উপর অতর্কিত হামলা শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে ।
তবে সকালের মারধরের বিষয়ে ওই স্কুল প্রধান শিক্ষক কিছুই জানতেন না বলে দাবি তার পরিবারের।
প্রত্যক্ষদর্শী যাদবপুর গ্রামের ফুলু ভূঁইয়ার ছেলে উজ্জ্বল ভূইয়া জানান, হামলার ঘটনা জানতে পেরে আমিসহ কয়েকজন খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে দেখি স্কুল শিক্ষককে কিবরিয়া গাজী, রাসেল গাজী, রাজীব গাজী, মামুন গাজী লাহু গাজী, আলফাজ গাজী,সাবু গাজীসহ আরো কয়েকজন মোবাশ্বের স্যারকে রামদা ও চাইনিজ কোরাল দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে আমরা উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন বিডি নিউজ২৪ ডটকমকে জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসা করার জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহার পেয়েছি।
আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।