নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে আবাসিক এলাকায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন কল্পে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্বেও নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া গ্রামে মের্সাস রুপা ব্রিকস ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। শুক্রবার সকালে আউড়িয়া এপিবিএসএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এ সাংবাদিক সম্বেমলন করেন। আউড়িয়া এপিবিএসএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মাসুদ সিকাদর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান, আউড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াডের মেম্বর মোঃ ওসমান গনি, ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ। অপর দিকে মের্সাস রুপা ব্রিকসের মালিক মোঃ মুক্ত শেখ দাবী করে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরূদ্ধে তিনি আপিল করেছেন, মহামান্য আদালত আপিল শুনানী না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেসার্স রুপা ব্রিকস ইটভাটাটি আউড়িয়া গ্রামের ঘন বসতি এলাকায় অবস্থিত। ইটভাটার ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও মসজিদ অবস্থিত। মের্সাস রুপা ব্রিকসের অবৈধ নছিমন ট্রাক্ট্রর কোন আইনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। ইতোপূর্বে আউড়িয়া গ্রামের গফফার মোল্যার ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রানা মোল্যাা এ অবৈধ গাড়ীর নীচে চাপা পড়ে নিহত হয়। শুকনো মৌসুমী ইটভাটার কারনে ধূলাবালি ও বর্ষার সময় কাদা সৃষ্টি হয়। এসব কারনে সমাজসেবক মাসুদ সিকদার নড়াইলের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করে কোন প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে ১১৮১/২০২৩ নং রীট পিটিশন দাখিল করেন। উভয় পক্ষে শুনানী শেষে গত ১৬ ফের্রুয়ারী উক্ত ইটভাটা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। যথানিয়মে আদেশের কপি উক্ত কর্মকর্তাগন পেয়েছেন। তথাপিও উক্ত ইটভাটা বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
অপর দিকে মের্সাস রুপা ব্রিকসের মালিক মোঃ মুক্ত শেখ বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরূদ্ধে তিনি আপিল করেছেন। মহামান্য আদালত আপিল শুনানী না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন।