
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে (নায়েব) অপহরণের ঘটনায় অপহরণকারীকে আটক করেছে কালিয়া থানাধীন পেড়লী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ঘটনায় অপহরণকারী ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২১ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদিপ্ত রায় দীপন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় বরাতে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হায়দার আলী প্রতিদিনের মত গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নিজ কর্মস্থলে কাজ করা অবস্থায় নড়াইল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান শুকুর ঐ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নড়াইলে জোরপূর্বক নিজ মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অপহরণকারী মনিরুজ্জামান শুকুর নায়েবের সাথে আর্থিক লেনদেনের কথা বলে সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন উপজেলা সহকারী কমিশনারকে তুলে নেওয়ার ঘটনা জানালে তিনি কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দেন এবং বন্ধ পান।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ও খড়রিয়া বাজারের কসমেটিকস ব্যবসায়ী ফোরকান শেখ জানান, প্রতিদিনের মত আমি আমার দোকানে কেনাবেচা করছিলাম এমন সময় নায়েব অফিসের সামনে অনেক লোকজনের সমাগম দেখে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে আমাদের ভূমি অফিসের নায়েবকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের জানান নায়েব হায়দার আলীর সাথে তার আর্থিক লেনদেনের কারণে তিনি নড়াইলে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে কালিয়ার এসিল্যান্ডকে আমরা ঘটনাটি জানাই।
পরে অপহরণকারী মনিরুজ্জামান শুকুর একপর্যায়ে ঐ কর্মকর্তাকে মুক্ত করতে রাজি হয় এবং যেখান থেকে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে ফেরত দিতে আসেন।
পরে কালিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় একই দিন বিকাল ৫টার দিকে খররিয়া বাজার থেকে অপহরণকারী ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। যেহেতু তিনি একজন কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তাকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দায়িত্বরত অবস্থায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছেন এবং পরবর্তীতে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। এ কারণে অপহরণকারী মনিরুজ্জামান শুকুরকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণের বিষয়ে ঐ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অপহরণের বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।