
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের লুটিয়া বান্দেরপাড়গ্রামে এতিম কাকলী বেগমকে বিবাহের নাটক সাজিয়ে ৫ বছর যাবত ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। কাকলী লোহাগড়া উপজেলার চরশালনগর গ্রামের মৃত রইচ মোল্যার মেয়ে। বিবাহের নাটক সাজিয়ে পাঁচ বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে লুটিয়াবান্দেরপাড় গ্রামের জুলহাস মোল্যার ছেলে নুর ইসলাম মোল্যার বিরুদ্ধে। এ বিষয় কাকলি বেগম লোহাগড়া থানায় কথিত স্বামী নুর ইসলামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সম্প্রতি নুর ইসলাম শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে কাকলিকে। এরপর প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাকলি স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় কাজীর সহকারী মুরাদ হুজুরের কাছে কাবিন চাইতে গেলে তিনি ওই বিবাহ পড়ানোর কথা অস্বিকার করেন। বাধ্য হয়ে কাকলি গত ১২জুন লোহাগড়া থানায় ওই কথিত কাজীসহ কথিত স্বামী নুর ইসলাম মোল্যা, তার ভাই শাহাবুর মোল্যা, বাবা জুলহাস মোল্যা, মাতা নারগিস বেগম ও পরকিয়া প্রেমিকা একই উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের মিরাজ খানের মেয়ে স্বর্ণা বেগমের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহের ঘটক নুর ইসলামের প্রতিবেশী মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফেজ আসাদুজ্জামানের স্ত্রী হালিমা বেগমসহ অনেকে জানান, মুরাদ হুজুর ওই বিবাহ পড়ায়েছিলেন। কিন্তু রেজিষ্ট্রী করেননি। সে কারনে দিঘলিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার খায়ের হুজুরের অফিসে গিয়ে নিকাহ রেজিষ্ট্রারে তাদের নাম পাওয়া যায়নি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, নুর ইসলাম প্রথমে গোপালগঞ্জ জেলায় বিবাহ করেন। ২ টি সস্তানসহ ওই স্ত্রীকে নুর ইসলাম তাড়িয়ে দেয়। পরে ঘটকের মাধমে বিবাহ ঠিক করে স্থানীয় ওই কথিত কাজী, স্থানীয় মেম্বার ও তার স্বজনদের প্ররোচণায় নাটকীয় ভাবে কাবিন ছাড়া কাকলিকে বিবাহ করে। ৫ বছর যাবত নুর ইসলাম মোল্যা নিজ বাড়ীতে রেখে কাকলিকে ধর্ষণ করে। তার গর্ভের দুটি সন্তান নুর ইসলামের নির্দেশে কাকলি নষ্ট করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কথিত স্বামী নুর ইসলামের সঙ্গে তার মুঠোফোনে (০১৭২৮-৭৫২৮২১) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কাবিননামা কেন দিচ্ছেন না এমন প্রশ্নে কথিত কাজী মোরাদ হুজুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

