নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী প্রিয়ন্তীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। নাবালিকা কুমারী ছাত্রী গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চরে্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয়ন্তী নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটি গ্রামের বাটুল রায়ের মেয়ে। অভিযোগ রয়েছে একই গ্রামের প্রতিবেশি বখাটে যুবক রিপন সরকার (৩০) তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষন করে। অসহায় হতদরিদ্র বাটুল বার বার তার মেয়ের উপর নির্যাতনের ঘটনা বখাটে রিপন সরকারের বাবা সুশান্ত সরকারকে জানিয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী সুশান্তর সরকার ও তার ভাই গোবিন্দ সরকার ছেলের বিচার করা তো দুরের কথা বাটুলকে কোন পাত্তাই দেয়নি।
শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের একটি দল অনুসন্ধানে গেলে বেনাহাটি গ্রামের লোকজন জানায়, সুশান্ত সরকার ও গোবিন্দ সরকার খুবই দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে রিপন বখাটে হয়েছে। এলাকার সুন্দরী মেয়েদের পিছনে লেগে তাদের উত্যক্ত ও সর্বনাশ করাই তার কাজ। আর কাজে তাকে তার পরিবার হতে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে। এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়ন্তী গর্ভবতী হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বখাটে রিপন তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নড়াইল মেডিল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। এরপর তার বিভিন্ন রকম টেস্ট করে নিশ্চিত হয় সে ৩ মাসের গর্ভবতী। ওই মেডিল্যাবে বসে রিপন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য প্রিয়ন্তীকে চাপ দেয়। প্রিয়ন্তী রাজী না হওয়ায় তার বড় ধরনের ক্ষতি করে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর ধুরন্ধর রিপন শারীরিক সুস্থতার ঔষধের কথা বলে প্রিয়ন্তীকে একটি ট্যাবলেট খেতে দেয়। ওই ট্যাবলেটটি তাৎক্ষণিক খাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে প্রিয়ন্তীর সন্দেহ হয়। সে ট্যাবলেট না খেয়ে কাছে রেখে অন্যদের দেখালে তারা জানায়,এটা সন্তান নষ্ট করা ট্যাবলেট। এ ঘটনার দু’দিন পর রিপন তার কাছে জানতে চায় সন্তান নষ্ট হয়েছে কি-না? সন্তান নষ্ট হয়নি শুনে তাকে অসম্মানসুচক কথা বলে ও মারধর করে। সন্তান নষ্ট না করলে তাকে বিয়ে করবে না বলে হুমকি দেয়। একইভাবে রিপনের বাবা সুশান্ত সরকার ও কাকা গোবিন্দ সরকার বাড়ির উপর গিয়ে বাটুলকে ধমকিয়ে তার মেয়ের গর্বের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। এতে করে প্রিয়ন্তীর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাটি অত্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। জানাজানি হয় সর্বমহলে।