
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কৃষ্ণপদ শাখারী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিবুর রহমান এর বিরূদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ৪টি পদ নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অফিস সহায়ক ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর বিদ্যালিয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরস্পর যোগসাজোশে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। তারা দু’জনে মিলে প্রত্যেকটি পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য পছন্দের প্রার্থীর নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির দু’জনকে তারা হাতে নগদ ধরিয়ে দিয়ে তাদের পক্ষে নিয়েছেন। গুঞ্জণ উঠেছে ৪টি পদে গোপনে চুড়ান্ত করা প্রার্থীদের নিকট হতে ৫৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। আয়া পদে ১২ লাখ, নৈশ প্রহরী ১৩ লাখ, এবং অফর দু’টি পদে ১৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, সিনিয়র শিক্ষক থাকতেও অসৎ উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মৌলভী শিক্ষক হাসিবুর রহমান কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে শুধুমাত্র নিয়োগ বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে। তিনি দ্বায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির কাউকে কোন মূল্যায়ন করেন না। স্বেচ্ছাচারি কায়দায় বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। সভাপতিকে প্রলোভনে ফেলে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। আগামীকাল ২৪ জুন উপরোক্ত ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ৪টি পদের পছন্দের প্রার্থীর নিকট হতে আগেই নির্ধারিত টাকা নেয়া হয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জণ উঠেছে। নিয়োগ বাণিজ্যের কথা চাউর হওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে চাকুরী প্রত্যাশী অন্যান্য প্রার্থী,অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটি’র সুবিধা বঞ্চিত সদস্যদের মধ্যে তীব্রক্ষোভ বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সচেতন মহল নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে মোস্ট সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দ্বায়িত্ব প্রদান করে নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে তদন্তের দাবি করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিবুর নিজেকে নির্দোষ দাব্ িকরে বলেন,তিনি কোন প্রার্থীর নিকট হতে কোন টাকা নেননি। বিদ্যালয়ের সভাপতি কৃষ্ণপদ শাখারী বলেন,সব দ্বায়িত্ব প্রধান শিক্ষককে দেয়া হয়েছে। তিনি কোন অনিয়ম করলে সে দায় তাকেই নিতে হবে।