
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা এলাকায় জায়গা জমির সালিশে গিয়ে বিজিবি সদস্য ও বিএনপি‘ র দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন লোহাগড়া উপজেলার চর কর্ফা গ্রামের মিজান সিকদারের ছেলে ও বিজিবিতে কর্মরত সোহাগ সিকদার (২৮), সোবহান সিকদারের ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিথুন সিকদার (৩০) এবং একই গ্রামের উবায়দুর সিকদারের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিচুর সিকদার লিয়ন (২৪)।
আহতদের দলীয় পরিচয় জানিয়েছেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ও লোহাগড়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব টিপু সুলতান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামঠানা গ্রামের হাফিজার মুন্সীর সাথে তার ভাতিজা জলিল মুন্সীর রেলওয়ের জমি অধিগ্রহণের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বসে। ওই দিন সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জলিল মুন্সী তার বংশীয় চাচা হাফিজার মুন্সীকে পাওনা টাকার ২লাখ ৫০ হাজার লাখ টাকা দেয়ার কথা রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে। সেই টাকা না দিয়ে তারা জলিল সিকদারের লোকজন হাফিজার মুন্সীর পক্ষের লোকজনের সাথে মারমুখি আচরন করে। এক পর্যায়ে জলিলের ছেলে নয়ন মুন্সী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এতে হাফিজার মুন্সীর পক্ষের সালিশে যাওয়া বিজিবি সদস্যসহ বিএনপির আর ২ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিজিবি সদস্য সোহাগকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন এবং অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, নয়ন মুন্সী ও তার পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিলে স্থানীয়রা জানিয়েছে তারা কেউ কোন গুলির শব্দ শোনেনি। তবে আহত তিনজন সূচালো কোন অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন না গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা চিকিৎসকের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত কওে বলা যাচ্ছে না।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত