নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে বিধবা বৃদ্ধার জমি দখল করে ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। নিজ ভিটায় ফিরতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের রতডাঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুভা রাণী বিশ্বাস নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা একই গ্রামের মৃত গোবিন্দ অধিকারীর ছেলে শুসান অধিকারী ও সমীর অধিকারী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরজমিন গেলে ভুক্তভোগী শুভা রানী’র অভিযোগ করে জানান, অভিযুক্ত শুসান ছোটবেলা থেকে শুভা রানীদের বাড়িতে থেকে তাদের জমিতে কাজকর্ম করতেন। বছর খানেক আগে শুভা রাণীর স্বামী মারা যান। এরপর থেকে শুভা রাণী একাই বসবাস করতেন। একপর্যায়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুসান ও সমীর লোকজন নিয়ে শুভা রাণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে দেন। এ সময় শুভা রাণী বাড়ি ভাঙতে বাঁধা দিলে শুসান বলেন, 'তোমার স্বামী আমারে জমি লিখে দিয়েছে, তোমরা বাড়ি খালি করে দাও'।
শুভা রাণী বলেন, আমার স্বামী জমি লিখে দিলে তো আমি জানতাম। ওরা জাল দলিল করে জমি দখল করেছে। এ নিয়ে আদালতে ৩-৪ বছর ধরে মামলা চলছে। আদালত এখনো কোনো রায় দেয় নি। ঘরবাড়ি ভাঙতে এলে আমি বাঁধা দিছিলাম। ওরে শোনেনি। ঘরের মেঝের মাটি পর্যন্ত কেটে নিয়ে গেছে। গাছগাছালি কেটে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে ওই দিনই শুভা রাণী নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তারা জোর করে আমার জমিতে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শুসান বলেন, 'ঘরবাড়িসহ এই জমি আমার কেনা। ঘর-দরজা নষ্ট হয়ে গেছে তাই ভেঙে নতুন করে ঘর করতিছি।'
জমির মালিকানা নিয়ে চলমান বিষয়টি স্বীকার করে শুসান বলেন,আমাকে জমিতে উঠতে না দেয়ার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে। মামলায় এখনো কারও পক্ষে রায় হয়নি। কিন্তু আদালত আমাকে জমিতে উঠতে নিষেধ করিনি। তাই আমার বাড়ি আমি ভাঙছি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সাজেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিট অফিসার প্রেরন করি। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত সবকিছুর সমাধান দিবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত