
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়ায় মাছের আড়ত থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। মাছের আড়তের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। জেলার লোহাগড়া উপজেলার আলামুন্সির মোড় এলাকার মাছের আড়তে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, লোহাগড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিলু শরীফ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উক্ত টাকা নিয়েছেন। আড়তদারদের দাবি, ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় গড়ে ওঠা এ আড়ত থেকে কখনো খাজনা নেয়া হয়নি। অথচ চলতি বছর হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে।
‘মায়ের ভান্ডার’ আড়তের স্বত্বাধিকারী ফারুক শেখ বলেন, ‘মিলু শরীফ লোক পাঠিয়ে খাজনা দাবি করেন, কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’ একই অভিযোগ করেন একতা মৎস্য আড়তের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস রবিন ও সুবল কুমার বিশ্বাস। তাদের দাবি, বিকাশ ও সঞ্জয় নামে দু’জন আড়তদারের মাধ্যমে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন এ আড়তে ৭ জন আড়তদার ও শতাধিক মৎস্যচাষী কাজ করেন। প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। আকস্মিকভাবে এ বিপুল অংকের টাকা আদায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত মিলু শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি। পৌরসভার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আমার চাচাতো ভাই মাছ আড়তের ইজারা পেয়েছিলেন। আড়তদাররা টাকাটি আমার মাধ্যমে পৌরসভায় দিয়েছেন। আমি শুধু সমন্বয় করেছি।’
এ ব্যাপারে লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র বলেন,‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাটবাজার ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পৌরসভার আওতায় ৭টি হাটবাজার ইজারা দিয়েছি। এই ৭টি হাট নতুন করে সৃষ্টি হয়নি। আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। ব্যক্তি মালিকানার জায়গা ইজারা দেয়া যায় কি-না ? এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর প্রশাসক মিঠুন মৈত্র বলেন, ব্যক্তিগত জায়গায় ইজারা দেয়ার সুযোগ নেই। ৭টি বাজারের ইজারার সার্বিক বিষয় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর বাইরে আমাদের কোনো ইজারা নেই। আলামুন্সির মোড়ের আড়ত থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির বিষয়ে বলেন, কে কোথা থেকে টাকা তোলেন; বিষয়টি বোঝা মুসকিল। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’