নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা রাধা গোবিন্দ মন্দিরের অর্থ আত্নসাৎ ও জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মন্দিরের সভাপতি গুয়াখোলা গ্রামের বিজন সেন। এ মামলা করায় মন্দিরের সভাপতিকে নানভাবে হুমকি দিচ্ছেন মন্দিরের অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি সাগর সেন। সম্প্রতি সাগর সেন আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নানাভাবে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গুয়াখোলা গ্রামের সাগর সেন একজন দুর্নীতি পরায়ন পরসম্পদ লোভি ব্যক্তি। তিনি নিজ এলাকার গুয়াখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার পদে চাকরি করলেও বসবাস করেন নড়াইল শহরে। ঠিকমত অফিস করেন না। অথচ জালিয়াতি কাগজপত্র ও সীল তৈরি করে তার কুকর্মের সহযোগিদের নিয়ে গুয়াখোলা রাধা গোবিন্দ মন্দিরের নামে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট হতে বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করিয়োছেন। এ ঘটনায় সাগর সেনকে প্রধান আসামি করে নড়াইল সদর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মন্দিরের সভাপতি বিজন সেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন গুয়াখোলা গ্রামের অলোক পাল, বিদ্যুৎ বিশ্বাস ও দুলাল মল্লিক। ঘটনার দীর্ঘদিন পার হলেও আত্মসাৎকৃত ওই টাকা মন্দির কমিটির নিকট জমা না দিয়ে মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন ধুরন্ধর সাগর সেন। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই গুয়াখোলা রাধা গোবিন্দ মন্দিরের নামে বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন সাগর সেন ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনা জেনে মামলার বাদী মন্দিরের সভাপতি নড়াইল হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের অফিসে যান। সাগর সেনসহ সকল আসামিদের বিরূদ্ধে জালিয়াতি কাগজপত্র সৃষ্টি ও মন্দিরের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন। তাছাড়া এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মন্দির চত্বরে সাধারণ সভা করা হয়। ওই সভায় আসামিদের হাজির করে তাদের নিকট এমন জঘন্য কাজ করার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় আসামি সাগর সেন প্রকাশ্যে স্বিকার করেন অন্যান্য আসামি ও আরোও কয়েকজন লোক মিলে একটি ভুয়া কমিটি গঠন করিয়া মিথ্যা দলিল প্রনয়ণসহ নকল সীল তৈরি করে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। এ কাজে কেউ বাঁধা দিলে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।