
হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নে ২ ডিলারের বিরূদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সরকারি পুষ্টি চাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বিধিবহির্ভূতভাবে ৫ মে. টন চাল বিক্রির অভিযোগ এ চালের ক্রেতা চাল ব্যবসায়ী মিলন হোসেনকে আটক করেছেন মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার নহাটা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সেই সাথে ওই চাল জব্দ করেছেন
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর বাজারের ডিলার হিমায়েত হোসেন ও নালিয়া বাজারের ডিলার কামরুজ্জামান এর কাছ থেকে পুষ্টির ৩০ কেজি’র প্যাকেটজাত চাল ক্রয় করেন। এ চাল ব্যবসায়ী মিলন শুক্রবার ( ২৪ অক্টোবর) সকালে চাল কিনে মাগুরা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে মোহাম্মদপুর উপজেলার সুজাপুর গ্রামের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌছালে স্থানীয়রা নছিমন ভর্তি এ চাল আটক করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে নছিমনটি ভর্তি চাল ফাঁড়িতে নিয়ে আটক রাখেন। এ চালের মধ্যে কামরুজ্জামানের বিক্রি করা ৭৬ বস্তা চাল এবং হিমায়েত’র বিক্রি করা ৯১ বস্তা চাল রয়েছে। মোট প্রায় ৫ মে. টন চাল। এদিকে চাল বিক্রির সাথে জড়িত ২ ডিলার গা ঢাকা দিয়েছে।
অভিযুক্ত ডিলার কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমি নলদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামান’র লোক। আমার কিছু হবে না। আমি কোন অন্যায় করিনি। অপর ডিলার হিমায়েত হোসেন বলেন, যাদের চাল দেয়া হয়েছে, তারা চাল নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে আমার কি দোষ? এ বিষয়ে জানার জন্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামান’কে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নলদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পাখী বলেন,যারা চাল চুরির সাথে জড়িত তাদের শুধু ডিলারশীপ বাতিল করলে হবে না, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া দরকার। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হলে ডিলারদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত