নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে এক স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে অন্য স্ত্রী নিয়ে সংসার করার অভিযোগ উঠেছে। আরেকটি বিয়ের খবর জানার পর তার প্রতারিত স্ত্রী লাভলী বেগম নিজের অধিকার ও স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত বুধবার দুপুরে স্বজনদের নিয়ে তিনি অধ্যক্ষের দপ্তরে হাজির হন। পরবর্তীতে কলেজের শিক্ষকদের চাপে তিনি চলে যেতে বাধ্য হন।
ভুক্তভোগি লাভলী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মো: ফারুক হোসেন খুলনার দিঘলিয়া থানার দেয়াড়া গ্রামে মৃত ইবরাহিম বিশ্বাসের বাড়ি লজিং থেকে খুলনা বিএল কলেজে পড়তেন। বিএল কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন তিনি। এক সময় ফারুক হোসেন দেয়াড়া গ্রামের ইবরাহিমের মেয়ে কে পছন্দ করে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সে মোতাবেক ১৯৯৮ সালের ১০ মে ফারুকের সাথে পারিবারিকভাবে দেয়াড়া গ্রামের ইবরাহিম বিশ্বাসের মেয়ে লাভলী বেগমের রেজিষ্ট্রী বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফারুক শ্বশুর বাড়িতেই থেকে শ্বশুর বাড়ির টাকায় লেখাপড়া শেষ করেন। বাড়িতে পরে নিয়ে যাবেন বলে লাভলীকে বাবার বাড়িতে রেখে সংসার করতে থাকেন। চাকুরী পাওয়ার পরও ফারুক নানা কৌশলে লাভলীকে বাড়িতে নিয়ে আসেনি। একাধিকবার লাভলী সন্তান ধারন করেছে,কিন্তু ফারুক গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করেছে। নানা অজুহাতে লাভলীর মায়ের নিকট হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রায় ৬ মাস আগে লাভলীর মাতা মারা যাওয়ার পর অধ্যক্ষ ফারুক দেয়াড়া যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন এর আরোও একটি স্ত্রী রয়েছে।
লাভলী বেগমের ভাবি দিঘলিয়া ইউপি সদস্য রিনা পারভিন বলেন উভয় পরিবারের সম্মতিতে ফারুকের সাথে লাভলীর বিয়ে হয়। রেজিষ্ট্রী কাবিন রয়েছে। তাদের এলাকার সব মানুষ এ বিয়ের কথা জানে। এলাকার সবাই ফারুককে তাদের এলাকার জামাই হিসেবে চেনে। ফারুক সুকৌশলে লাভলীর সাথে প্রতারনা করছে। লাভলীকে মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিলে মামলা করবেন বলে জানান। লাভলী বেগম কান্নাজাড়িত কণ্ঠে বলেন,ফারুক তার জীবন নষ্ট করে দিয়ে অন্য স্ত্রী নিয়ে সুখ শান্তি করছে। তার বিচার আল্লাহ করবেন।
অধ্যক্ষ ফারুক বলেন লোভের বশবর্তী হয়ে ওই নারী তাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছেন। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে। তাছাড়া তার স্ত্রী সরকারি কলেজের শিক্ষক বলে জানান অধ্যক্ষ ফারুক।