
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল-যশোর সীমান্ত এলাকার মরিচা-ভবানীপুর-চাকই বাজারে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের মধুরগাতী গ্রামের হুমায়ুন কবির দীর্ঘ দিন ধরে ওই বাজারে তেল, মবিল ও চালের ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার রাতে কেনাবেচা শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। গভীর রাতে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির সাথে-সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দেখতে পান তার দোকান ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে। দোকান ঘরের কাঠের বেড়া ভেঙ্গে ও করাত দিয়ে কেটে অপসারণ করা হয়েছে। ঘরের প্রতিটি ঢালাই পিলার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সাইনবোর্ড। আসবাবপত্র গুলো পাশের নীচু জায়গায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। কম দামি ও অপ্রয়োজনীয় কিছু মালামাল বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে ক্যাশবাক্সের নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা, ১শ বস্তা চাল, ২ ব্যারেল ডিজেলসহ দোকানের অন্যান্য মালামাল। ঘটনার পরপরই ওই রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে বেশ কিছু সরকারী খাস খতিয়ানের জমি রয়েছে। ওই সব জমিতে অনেকেই দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকে দোকান ঘর করে ভাড়া দিয়েছেন। কেউবা আবার সরকারি খাস জমি দখল করে পজিশন বিক্রি করেছেন। সরকারি খান খতিয়ানের জমিতে অন্যান্যদের মত হুমায়ুন কবির দোকান ঘর করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সৌমিত্র রায় ওরফে সৌম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, হুমায়ুন কবিরের দোকানে খুব বেশি মালামাল ছিল না। খুব সামান্য টাকার মালামাল চির। তার দোকানের জায়গার পক্ষে কোন কাগজপত্র নেই। ওই দোকানের জায়গার বন্দোবস্ত’র কাগজপত্র তার ভাই স্বপনের নামে। তাছাড়া তিনি কোন হামলা ও লুটপাট করেননি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত