
জন্মভূমি রিপোর্ট
নতুন চাল আসার পরেও খুলনার বাজারে কমছে না চালের দাম। ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি ০৫ থেকে ১০টাকা বৃদ্ধির কথা বললেও ক্রেতারা বলছেন কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। বাজারে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। রানী ভাইটেল ৭৭ থেকে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, বাশ মতি ৮৩ টাকা, আঠাইশ ৫৭ থেকে ৬০ টাকা কেজি দ্বরে। দাম বেড়ে বিভিন্ন কম্পানির প্যাকেটের চাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মসুরের ডালেরও কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত ০৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার টাকার নিচে হলেও ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকার বেশী দামে। তবে স্থিতিশীল মাছ, মাংস ও স্ববজির বাজার। ক্রেতারা বলছে, দামতো বাড়ে কমে না। আমাদের আর কি করার বেঁচে তো থাকতে হবে, বেশী দামে পণ্য কিঁনতে হবে। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন মিল মালিক ও কম্পানিয়ালারাই মালের দাম বৃদ্ধি করছে। সরকার মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দাম কমবে। শুক্রবার সকালে নগরীর নিউ মার্কেট বাজারে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। বাজারের মিজান এন্টারপ্রাইজের মালিক মিজান বলেন, দাম প্রচুর বৃদ্ধি। সাধারনত এ সময় চালের দাম কম থাকে। কারন বাজারে নতুন চাল ঢুকে গেছে। কিন্তু দাম কমাচ্ছে না মিল মালিক ও কম্পানীর লোকজন। একই রকম কথা বলছেন নয়ন এন্টারপ্রাইজের আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মিল মালিকরা কিম দামে ধান কিনে মজুত করে রাখে। পরে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে। ধরেন বাজারে আমার প্রতিদিন ৫০ বস্তা চাল লাগে। মিল মালিকরা এখন চাল দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫ বস্তা। অপর ব্যবসায়ী মুক্তার আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মুক্তার আহম্মেদ জানান, এ সপ্তাহে চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহে যা ছিল তাই রয়েছে। কিন্তু মিল মালিক আর কম্পানির লোকজন বলছে আগামী সপ্তাহে চালের দাম আরো বাড়তে পারে। এ সময় পরের বাড়ী কাজ করেন ছায়েরা বেগম জানান, আমরা দিন আনি দিন খায়। জিনিস পত্রের দাম যা বাড়ছে তাতে আমাদের না খাইয়ে মরার লক্ষন হইছে। একই কথা শেখ পাড়ার এ্যালমুনিয়াম দোকানের কাজ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে তাদের দিন আনে দিন খাওয়া গোছের মানুষদের এখন মরার অবস্থা। নিউ মার্কেট এলাকার গৃহিনী বিউটি বেগম জানান, ৫ লিটার তেল সরকার নির্ধারিত দামে কিনতে পারছি না আমরা। এক হাজারের বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে এখন।