গাজী আনোয়ার হোসেন, কাউখালী (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী বাজার ফেরিঘাট জামে মসজিদটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে যেকোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। মসজিদটি সন্ধ্যা নদী ও গাবখান চ্যানেলের সঙ্গমস্থলে হওয়ায় বর্তমানে এটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আসন্ন বর্ষা মওসুমে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। সরেজমিনে দেখা যায়, আমরাজুড়ির মূল সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে মসজিদ পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী ইউনিয়ন সন্ধ্যা নদী ও গাবখান চ্যানেলের উভয়পাড়ের তীরবর্তী হওয়ায় প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মৌজার আয়তন হারাচ্ছে। কাউখালী-নেছারাবাদ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ আমরাজুড়ী ফেরিঘাটের সন্নিকটে অবস্থিত বাজার জামে মসজিদটি সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার করে খুবই দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। কিন্তু গত বর্ষা মওসুমে নদী ভাঙ্গনে কাউখালী নেছারাবাদ সড়কের আমরাজুড়ি ফেরিঘাট সংলগ্ন মূল সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গেলে ফেরিঘাট বাজার জামে মসজিদটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। স্থানীয়ভাবে কাঠের পাইলিং দিয়ে মসজিদটি রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও আসন্ন বর্ষা মওসুমে মসজিদটির ভাগ্যে কি আছে তা নিয়ে মুসল্লী ও স্থানীয় জন সাধারণ শঙ্কার মধ্যে আছেন। মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছরের অস্বাভাবিক ভাঙ্গনে নদীর তীর মসজিদের মেহরাবের কাছে এসে ঠেকেছে। তিনি বলেন, আসছে বর্ষা মওসুমের পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনী ব্যবস্থা না নিলে মসজিদটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সেজন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা মসজিদ এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।