একটি ভালো ভবন হলেই হবে না। কেননা সেই ভবনটি পরিচালনা করতে প্রয়োজন আরও অনেক কিছু। তবে হ্যাঁ, সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি সুদৃশ্য ভবন এটা প্রথম ধাপ। সেই ধাপটি ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি জেলা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এখন প্রয়োজন এর ছোটখাটো ত্রæটি-বিচ্যুতিগুলো ঠিক করা। এরপর দরকার প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল। আমরা আশা করছি, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ছোটখাটো প্রয়োজন মিটিয়ে দিবেন। এমন প্রত্যাশা করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট খুলনার সভাপতি হুমায়ুন কবির ববি।
খুলনার সাংস্কৃতিক জগতে হুমায়ুন কবির ববি একটি বহুল পরিচিত নাম। ছোট বেলা থেকেই তিনি নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। স্বাধীনতা উত্তর খুলনার সাংস্কৃতিক অঙ্গণকে বার বার মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। মৌলবাদ ও সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৮০’র দশক থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী তিনি। তিনি একজন ভালো সংগঠকও। নাট্যকর্মীও বটে।
হুমায়ুন কবির ববি বলেন, চারতলা প্রশাসনিক ভবন, ৫০০ আসনের মিলনায়তন, আর্ট গ্যালারি, মুক্তমঞ্চ, মিনি লেক, বিভিন্ন গ্যালারিসহ যে দেখার মতো ভবন শিল্পকলা একাডেমির জন্য নির্মিত হয়েছে তা আমাদের পরম পাওয়া। এটাকে বলা যায়, আধুনিক শৈলীর অন্যতম নিদর্শন। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। বর্তমানে জেলা শিল্পকলার আওতায় একজন জেলা কালচারাল অফিসার ও একজন অফিস সহকারি সরকারিভাবে নিয়োগ আছে। এছাড়া বাকি চার জন সহযোগী কর্মী রয়েছে, যারা অস্থায়ীভাবে কাজ করছে। কিন্তু এতো বড় অট্টালিকাসহ সংযুক্ত আধুনিক আলোক ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি কিভাবে নিরাপদে থাকবে তার কোন বন্দোবাস্ত নেই। তবে মূল হলের মধ্যে যেসব আলোকবাতি লাগানো হয়েছে সেগুলোর মানও যথাযথ নয়। যা অল্পদিনের মধ্যেই নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের আগে শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স-এর অসম্পূর্ণতা দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। এই দাবিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ইতোমধ্যে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি- জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, উদ্বোধনের আগেই মূল মিলনায়তন ও আর্ট গ্যালারির আলোসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাসহ যেসব ত্রæটি রয়েছে, তা দূর করতে হবে। আধুনিক আলো ও শব্দ প্রক্ষেপণযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে, তা পরিচালনার জন্যে দক্ষ জনবল নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে একাডেমি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাঁরাসহ সকল স্তরের সংস্কৃতি কর্মীরা যাতে উপস্থিত থাকতে পারে, এমন একটা সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে কমপ্লেক্স ভবনটি উদ্বোধনের দাবি জানানো হয়েছে। উপরন্তু, এলাকাটি সাংস্কৃতিকর্মীদের জন্য পরিবেশবান্ধব করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থারও জোরদার করতে হবে।