
জন্মভূমি ডেস্ক : খুলনার পাইকগাছায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো জগৎখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে অবস্থিত বিজ্ঞানীর নিজ বাসভবনে স্মরণসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আক্তার হোসেন, পাইকগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সমরেশ রায়, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম এবং ওসি মো. রিয়াদ মাহমুদ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেখারুল ইসলাম শামীমের স্বাগত বক্তব্য’র মধ্যে দিয়ে ও এসএফডিএফ কর্মকর্তা জিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরামুল হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.পার্থ প্রতিম রায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, খাদ্য কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান, আই সিটি কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি দাস।
রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল মজিদ, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, তুষার কান্তি মন্ডল, এ্যাড এসকেন্দার, সেলিম রেজা লাকি, জামায়াত নেতা আব্দুল মমিন সানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এসকে মহিবুল্লাহ। রাড়ুলী ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ছাত্রনেতা সরজিত ঘোষ দেবেনেসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিবৃন্দ বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। আলোচনা সভা শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অতিথিবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞানী পিসি রায় অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে শিল্পপতি, রসায়নবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, রাজনীতিবিদ ও সমবায় আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। বিজ্ঞানী পিসি রায় শুধু পাইকগাছা নয়, গোটা দেশের গর্ব। উনার জীবন ও আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিজ্ঞানীর জীবন আদর্শ সম্পর্কে বেশি বেশি জানতে হবে। তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানীর জীবন সম্পর্কিত বই বেশি বেশি পড়ার জন্য আহ্বান জানান বক্তারা।