বিজ্ঞপ্তি : বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ডুমুরিয়া এবং দিঘলিয়া থানার পৃথক দুই মামলায় ১৩জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ আদেশ দেন। উচ্চআদালতের জামিন শেষে নিম্নআদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
কারাগারে প্রেরণকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন ডুমুরিয়া থানার মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, শেখ ফরহাদ হোসেন, আবরার হোসাইন সৈকত, আব্দুর রব আকুঞ্জি, মোঃ জামিনুর রহমান, মোল্লা মশিউর রহমান, মোঃ শাহ নেওয়াজ শেখ। অন্যদিকে, দিঘলিয়া থানায় অনুরুপ অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হিমেল গাজী, নবাব মোল্লা, সোহেল রানা, মিঠু খান ও সৈয়দ সাগরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ১০দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সারাদেশের ন্যায় ডুমুরিয়াতেও শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওইরাতে রাতে ডুমুরিয়া থানার এসআই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে আজিজুল বারী হেলাল, আমীর এজাজ খান, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজসহ ১৮জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন এজাহারনামীয় নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার আদালতে ৮জনের জামিন মঞ্জুর করে। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, আব্দুল হালিম, মশিউর রহমান লিটন, হাফিজুর রহমান শেখ, শেখ সরোয়ার হোসেন, শফি খান, আতিয়ার সরদার ও সরদার আব্দুল মালেক। আসামি পক্ষের শুনানীতে অংশগ্রহন করেন এড. মোমরেজুল ইসলাম ও চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষারসহ অনেকেই। আদালতে নগর সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দকে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেবার পথে সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় নেতৃকর্মীরা।
নগর বিএনপি’র নিন্দা : আজিজুল বারী হেলাল ও আমীর এজাজ খানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মহানগর নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর আহবায়ক এড. এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর প্রমুখ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী আজ্ঞাবহ বাকশালী আদালত সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। জামিন পাওয়া একজন রাজনীতিকের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার। আদালত এখন মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে লুটেরা ভোটডাকাত সরকারের পাহারাদারের পরিণত হয়েছে। হামলা-মামলা-গ্রেফতার আর রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অচিরেই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে একদফার আন্দোলন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ্।
জিয়া পরিষদ : আজিজুল বারী হেলাল এবং আমীর এজাজ খানসহ ৮ নেতা-কর্মীকে কারাগারে প্রেরনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছেন জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন জিয়া পরিষদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ হারুনুর রশিদ খান, প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফ হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রাক্কিবু, মোঃ হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, অ্যাডঃ মশিউর রহমান নান্নু, মোঃ শফিকুর রহমান শফিক, অধ্যাপক মুনসি শফিকুল আলম, সাংবাদিক মোঃ রুহুল আমীন, এস এম মোহাম্মদ আলী, কাজী ফেরদৌস বাবু, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম নুর, মোহাম্মদ মনজুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ ওসমান গনি, প্রভাষক জাহিদুর রহমান রাজু, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, এম এম এ বাশার, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, জাহেদ আলম, মাহমুদুল হাসান, মোঃ রবিউল ইসলাম, মইনুল ইসলাম, অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, এড মহসিন মোল্লা, এড মোঃ মারুফ, মেশকাত হোসেন, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ মোর্তজা, মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, গাজী আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত