
জন্মভূমি রিপোর্ট : মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, নির্বাচনে বিজয় অর্জন করার পূর্ব শর্ত হলো সংগঠনকে শক্তিশালী করা। সংগঠন শক্তিশালী হলে কোন অপশক্তি আমাদের ধারে কাছে আসতে পারবে না। আর সংগঠন দুর্বল হলে কোন অবস্থাতেই কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো যাবে না। তিনি বলেন, আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এসিড টেস্ট। এই নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে পারলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। বিএনপি-জামায়াতকে সাথে নিয়ে নির্বাচন ভুন্ডুল করার নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তাদের এই সকল অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হলে দরকার ঐক্যবদ্ধ সংগঠন। আর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন মানেই হচ্ছে শক্তিশালী সংগঠন। এই পর্যন্ত যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সে সকল আন্দোলনে বিজয় অর্জনের মূল শক্তি ছিলো দেশব্যাপী সংগঠন সুসংগঠিত ও শক্তিশালী থাকা। যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি রাখতে পারে নি। শনিবার বেলা ১১টায় মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কাজি আমিনুল হক, বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, এড. আইয়ুব আলী শেখ, মো. আশরাফুল ইসলাম, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মোরশেদ আহমেদ মনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান মিজান, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এড. রজব আলী সরদার, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, অধ্যা. আলমগীর কবির, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহাজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপনসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ।
সভায় তালুদার আব্দুল খালেককে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করতে ঢাকায় যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সেন্টার কমিটি গঠন করে ঈদের আগে দপ্তরে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।