জন্মভূমি ডেস্ক : র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে সরকার। এর মধ্যে আবার যেন কোনো একতরফা কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে না পারে সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন গত ৩১ ডিসেম্বর বিদেশের মিশনগুলোতে চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রদূতদের এই নির্দেশনা দেন।
সেই চিঠিতে ৭টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার বিষয়। ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতদের জন্য ২০২৩ সালে করণীয়-সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘যে কোনো কূটনীতিক মিশনের মৌলিক কাজ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন কাজ এগিয়ে নেওয়া। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বাড়তি কাজের চাহিদা রয়েছে।’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘আমাদের একটি বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ জন্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাদের হালনাগাদ তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।’
এদিকে, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন চিঠি পাঠানোর এক দিন পর গত ১ জানুয়ারি ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও রাষ্ট্রদূতদের একই আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী অপপ্রচার ঠেকাতেও রাষ্ট্রদূতদের ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের অপ্রীতিকর ঘটনা ঢাকা-ওয়াশিংটন টানাপড়েনে বাড়তি উত্তেজনা এনেছে। এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও নিষেধাজ্ঞাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সরকারবিরোধীরা।