জন্মভূমি ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এলাকায় গিয়ে নেতাদের জনসংযোগের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নিজেরা নিজেরা যেন কোনো রকম কাদা ছোড়াছুড়ি না করে, সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি করে কোনো লাভ নেই, নমিনেশন তো আমি দেবো। নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি আরো বলেন, “কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যারা নাশকতা করবে, তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।” বুধবার (১৯ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। তিনি বলেন, “যৌথ সভায় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই কাজ করবেন।” আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের ছুটিতে জনসংযোগের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের ভিডিও কলে নির্দেশনা প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অনাবাদি জমি ফাঁকা রাখা যাবে না। যার জমি আছে তাকে উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন। গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে যেতে বলেছেন। বিশেষ করে সরকারের উন্নয়নের চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিএনপির আমলের অপশাসন দুর্নীতি চিত্র এবং পার্থক্য মানুষের সামনে তুলে ধরার কথা বলেন।
দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় কোনো দলাদলি করা যাবে না। মনোনয়ন দেব আমি। যারা মনোনয়ন পেতে আগ্রহী, সবাই এলাকায় একসঙ্গে কাজ করবে। কোনো ধরনের দ্বন্দ্বে লিপ্ত হওয়া যাবে না।” কৃষকদের ধান কাটার সহযোগিতা করার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেন শেখ হাসিনা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, “যার যার এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প আছে সেখানে গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিতে হবে। আমি একটা লোককেও ঘরহীন, ভূমিহীন রাখব না। যদি কোনো এলাকায় কোনো ভূমিহীন থাকে খোঁজ নেবে, তাদের ঘর দেওয়া হবে।”
বাড়ি যাওয়ার সময় সতর্কভাবে চলাফেরা করা জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি তাদের বাইক চলানোর সময়ও যাতে সবাই সতর্ক থাকেন, সেই কথা মনে করিয়ে দেন। এছাড়া ছাত্রলীগের নেতাদের সাদাসিধে জীবনযাপনের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত