জন্মভূমি ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোয়াখালী বিএনপির নয় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। বিএনপি আন্দোলনে হেরে গেছে, তারা নির্বাচনেও হারবে। সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হলো বিএনপি। তারা আন্দোলনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। সাড়ে ১৪ বছরে পারেনি, আগামীতেও পারবে না।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি, উন্নয়ন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল নোয়াখালীতে এসে বিষোদগার করেছে। সে হয়তো জানে না নোয়াখালী বিএনপির নয়, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
বিএনপির আন্দোলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে হাত আগুন দিয়ে পোড়াতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দেবেন। বিএনপির আস্ফালনের জবাব আমাদের দিতে হবে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার মতো সৎ, সাহসী নেতা কেউ নেই, কেউ জন্মায়নি। শেখ হাসিনা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় জনগণের জন্য তিনি কাজ করেন। তিনি সজিব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে বিকল্প পাওয়ার সেন্টার করেননি। সারা বিশ্বের প্রথম শ্রেণির সাহসীদের নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উঠেছে। মনে রাখবেন যতক্ষণ ক্ষমতায় আছেন তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না।
ভিসা নীতিকে শেখ হাসিনা ভয় করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসা নীতিকে শেখ হাসিনা ভয় করে না। কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। প্রয়োজনে শেখ হাসিনা ডালভাত খাবে তবুও কারো কাছে মাথা নত করবে না। শেখ হাসিনার বড় শক্তি জনগণ। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দলকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনা করেন।
শান্তি সমাবেশে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজী, কবিরহাট উপজেলার সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রুমিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
দুদিনের সফরে শনিবার (২২ জুলাই) সকালে হেলিকপ্টারযোগে কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এরপর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি, উন্নয়ন ও সুধী সমাবেশে যোগদান করেন। দুপুরে পুলিশ লাইন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল উদ্বোধন করেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগদান করবেন। রোববার (২৩ জুলাই) সকালে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি, উন্নয়ন ও সুধী সমাবেশে যোগদান করবেন।