
জন্মভূমি ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন মাহি। এই আসনে থেকে নৌকার টিকিট পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান।
এর আগে ২০২২ সালে বিএনপি দলীয় সাংসদ আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করার প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে এ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। সেবারও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানকে।
এদিকে জামালপুর- ৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি মুরাদ হাসানও। তবে তিনি স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়ন কিনেছেন। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান হেলাল। মুরাদ হাসানের মনোনয়ন ফরম কেনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন। তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১ জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে রবিবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রাথীর প্রথম একটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় নেতারা জানান, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন মুরাদ হাসান। এরপর তিনি দলের নেতাকর্মীদের তোয়াক্কা না করে একক বলয় তৈরি করেন। তাঁর একক আধিপত্য বিস্তারে দলীয় নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। এছাড়া ২০২১ সালে চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন মুরাদ হাসান। ওই ফোনালাপে অশ্লীল ভাষায় মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বাধ্য করতে শোনা যায় তাকে। পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অনৈতিক কর্মের জন্য প্রতিমন্ত্রীসহ উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়া হয়।