যশোর অফিস : পদ্মফুলে পাল্টে গেছে যশোরের কালেক্টরেট পুকুর। সেই সাথে রঙিন মাছ পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে এটি যশোরের মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এ পুকুর পাড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় করছে।
যশোর জেলা প্রশানের কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান, পদ্ম ফুল এখন আর সচারাচর পাওয়া যায় না। এখন থেকে এটি কালেক্টরেট পুকুরে সংরক্ষণ করা হবে। গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও অভয়নগরের পুড়াখালী বাজার থেকে দুই শতাধিক পদ্মফুলের কান্ড রোপণ করা হয়। সেই সাথে পুকুরে ৮ হাজার রঙিন মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। পদ্মফুলে বক ও বিভিন্ন পাখির আনাগোনাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে কালেক্টরেট পুকুরের এখন অন্যতম দৃশ্য। যা মানুষে দৃষ্টি কাড়ার মতো।
এতে করে পাল্টে গেছে কালেক্টরেট পুকুরের দৃশ্য। সেই সাথে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণ বেড়ে গেছে পুকুরের। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এখানে আসে। এখন প্রচন্ড গরম পড়ছে। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ দলে দলে আসছে এখানে।
রিজিবুল জানান, মানুষের বিনোদন ও মনের প্রফুল্ল আনার জন্য এটা করা হয়েছে। ২০২২ সালের আগস্টের শেষের দিকে পদ্মফুল সংগ্রহ করে এনে কালেক্টরেট পুকুরে দেয়া হয়েছে। পদ্মফুল সংরক্ষণ করা হবে । এর আগে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতায় পুকুরটি সংস্কার করে চার পাড় কংক্রিটে বাঁধাই করা হয়েছে। শান বাঁধানো দুটি সিঁড়ি রয়েছে। পুকুরের ধারে বিনোদন পিপাসু মানুষের হাটার জন্য ওয়াকওয়ে বানানো হয়েছে। একইসাথে সাথে পুকুরের ধারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের যানজট ও শব্দ দূষণ থেকে স্বস্তি পেতে সকাল-বিকেল বিভিন্ন মানুষের ভিড় করছেন পুকুরপাড়ে। কলেক্টরেট পুকুরটি যেন শহরের পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বর্তমান জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের উদ্যোগে পুকুর সংস্কার করে পর্যটনের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। নতুনরূপে কালেক্টরট পুকুর এখন যশোরবাসীর অন্যতম দর্শনীয় স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে।
কালেক্টরেট মার্কেটে আসা আবদুল কাদের নামে একজন জানান, জামাকাপড় কিনতে এসেছিলাম। প্রচন্ড গরমে পুকুরপাড়ে এসে বসেছি। পুকুরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে ভালই লাগছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতায় পুকুরটি সংস্কার করেছি। পুকুরে পদ্ম ফুল রোপণ করেছি। একই সাথে রঙিন মাছ ছেড়েছি। পুকুরটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসছেন। তারা পদ্মফুলের সমাহার ও রঙিন মাছের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।