ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগ অস্বীকার করছেন রিমান্ডে থাকা আসামিরা। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী ওরফে অমিকে বৃহস্পতিবার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রিমান্ডের প্রথম দিন তারা সাভার থানার পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তারা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় জড়িত নন বলে দাবি করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে ৮ জুন রাতে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে নায়িকার অভিযোগ। ১৩ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। বুধবার সাভার থানার পুলিশ ওই মামলায় তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয়।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল কাফী বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, পরীমনির করা মামলার খুঁটিনাটি বিষয়ে বৃহস্পতিবার আসামি নাসির উদ্দিন ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশের কাজ হলো, সেদিন কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে বের করা। সেভাবেই তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন- তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি। ১৩ জুন রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
পর দিন ১৪ জুন সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে নাসির ও অমি এবং তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলায় গত ১৫ জুন নাসির ও অমির সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। আর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় বুধবার তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়।