মো: হাসান গাজী, মোংলা : মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া সার বোঝাই কার্গো জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কাজে বিলম্ব হলে সরকারিভাবে আমদানীকৃত সার ও কার্গোতে থাকা জ¦ালাণী তেল পানিতে মিশে জলজ প্রাণীর ক্ষতিসহ পরিবেশ দূষনের আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা। গত মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় একটি বিদেশী জাহাজ থেকে ৫শ’ মেট্রিক টন সার নিয়ে ফেরার পথে ঘন কুয়াশার কারণে অপর একটি বিদেশী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস।
এ ঘটনায় সার আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এগ্রিকালচার কর্পোরেশনের (বিএডিসি), পরিবহন ঠিকাদার আকিজ গ্রুপ ও কার্গো মালিকপক্ষ দূর্ঘটনার পর পরই মোংলা থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। এতে ৫শ’ মেট্রিক টন সারের কথা উল্লেখ থাকলেও টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানানো হয়নি। এ দিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন সহ কার্গো মালিক পক্ষকে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার তাগিদ দিলেও তা বাস্তবায়নে ধীর গতি চলছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, এ ঘটনার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে হয়। ইতিমধ্যে দূর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন দু’ একদিনের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া পণ্যবাহী দেশী-বিদেশী জাহাজের আগমন-নির্ঘমন নিশ্চিত করতে দুর্ঘটনাস্থলে মার্কিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বন্দরের নৌচ্যানেল নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ডুবে যাওয়া লাইটার শাহাজালাল এক্সপ্রেসের মালিকানাধীণ প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই শিপিং লাইন্সের মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এই লাইটার জাহাজটি উঠানো সম্ভব না। অনেক সময় লাগবে। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ থেকে প্রাথমিকভাবে সার অপসারন করতেও এখনও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দবনের অভ্যন্তরে পশুর চ্যানেলে সারবাহী লাইটার জাহাজ ডুবিতে জলজ সম্পদের মারাত্নক ক্ষতি এবং জাহাজে থাকা যে জ¦ালানী তেল বনাঞ্চালের পরিবেশকে দূষণ করবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত