পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছায় আলোচিত গ্যাং ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছেন। এ মামলায় পুলিশ ছামাদ সরদার (৪৪) নামে একজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। সে দক্ষিণ রাড়ুলীর আবুল হোসেন সরদারের ছেলে। এ মামলার বাদীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম অনেকটা স্বাভাবিক হলেও তার ভয় কাটেনি। লোকজনও চিনতে পারছেন।
থানায় দায়ের করা মামলা সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিণ রাড়ুলীর বাসিন্দা ব্যবসায়ী ভিকটিমের স্বামী মান্নান সরদার (৫০) সোমবার গড়ইখালী হাটের উদ্দেশ্যে কাঁচামাল দিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে চলে আসেন। ১২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে যে কোন উপায়ে একতলা পাঁকা বিল্ডিং এর দরজা ভেঙ্গে ২/৩ জন
দুর্বৃত্তরা ভিকটিমের ঘরে ঢোকে। এ সময় সে ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। দুর্বৃত্তরা প্রথমে ওড়না দিয়ে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এর পর হত্যার ভয় দেখিয়ে তার কানে থাকা দু’আনা ওজনের দু’টি স্বর্নের দুল, ভ্যানাটি ব্যাগ থেকে ১১ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত ১টি আইটেল মোবাইল নেয়। পরবর্তীতে তার চোখে-মুখে আঠা জাতিয় পদার্থ দিয়ে দুর্বৃত্তরা পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভোরে গোংরানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশি বৃষ্টি খাতুন এক মহিলা টের পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন। সোমবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম ও ওসি মো. ওবাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষিতার বিছানা থেকে রক্তমাখা বাঁলিশ, কাথা-কাপড় সহ ১টি সাবল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী মান্নান সরদার বাদী হয়ে গ্যাং ধর্ষনের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন দস্যুর বিরুদ্ধে ৩৯৪ পেনাল কোর্ড সহ ২০০০ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ( সংশোধনী) ২০২০ এর ৯ (৩) ধারায় মামলা করেছেন, যার নং-১৩।
এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে বাদী মান্নান সরদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভিকটিম একটু সুস্থ্য হয়ে সামান্য ফল জাতীয় কিছু খেতে পারছে এবং লোক জনও চিনতে পারছে। স্ত্রী’র চোখের অবস্থা ভালো উল্লেখ করে তিনি জঘন্য এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তা চেয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, গ্যাংরেফ মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে স্বার্থে এর বেশি কিছু বলেনি। তবে
তিনি দ্রুত এ মামলার রহস্য উদঘাটন হবে বলে এ প্রতিনিধিকে জনিয়েছেন।