
পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছায় ২০ নং পোল্ডারে রেখামারি গ্রামের ওয়াবদার উপর পিচের রাস্তার উপর দীর্ঘদিনের বড় গর্ত সংস্কার না করায় অতিবৃষ্টি ও নড়া নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই স্থানে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে লাখ লাখ টাকার মাছ ও ফসলী জমির ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে সব্জি ক্ষেত সহ আমনের ফসল। এখন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার লতার ইউনিয়নের এ ভাঙন দেখা দেয়। রোববার সকালে নদীতে ভাটা শুরু হলে পানি কমতে শুরু করে। তখন শত শত গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় মীর রুবেল, ইব্রাহিম গাজী জানান, নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি ও অতি বর্ষণের ফলে নড়া নদীর তীরবর্তী রেখামারি স্থানে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। রাস্তাটির ভাঙন স্থানে দীর্ঘদিন একটা বড় গর্ত ছিল। শনিবার রাত ১২টার দিকে সেখানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ভেসে গেছে অসংখ্য চিংড়ী ঘের ও ফসলের জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪-৫টি বসতবাড়ি। এখন ১১টি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছেন।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, ভাঙনকৃত রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে বড় গর্ত ছিল। জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের অনেক বার বলা সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেনি। তাদের গাফিলতির জন্য আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পিচের রাস্তাটি নষ্ট হল। আবার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান।এই যে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হলো তার দায়ভার কে নেবে? যত ভোগান্তি সব আমাদের। এছাড়া রাস্তা গুলোর পাশে ঘের মালিকরা রিং বাঁধ না দেয়ায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে। আমরা বাঁশ, জিও-ব্যাগ সরবরাহ করেছি। এদিকে, সড়কের দু’পাশে রিং বাঁধ সহ টেকসই ওয়াবদার রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।