খুলনা : খুলনার পাইকগাছায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাজমিরা ( ববিতা) হত্যা মামলার ক্লু উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক জমির বিরোধে ফাঁয়দা নিতে তৃতীয় পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত তাজমীরার সেঝভাসুর মীর শহিদুল্লাহ (৫৯) এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনজীর হোসেন বলেন, থানা হেফাজতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মীর শহিদুল্লাহ ও ধামরাইলের মৃতঃ আবুবক্কর গাজীর ছেলে মফিজুল গাজী (৫৮) কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে ধামরাইলের গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরাস্থানে তাজমীরার দাফন করা হয়েছে। এর পুর্বে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লাহকে ছেড়ে দেযা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই মৌখালীর আলমগীর গাজী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন,যার নং-৩২, তাং- ৩১ জানুয়ারী-২৩। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চাঁদখালী ইউপি’র ধামরাইল গ্রামের বাড়ীর ৫শ গজ দুরে পাউবো’র ভেড়িবাঁধের ভিতরে বোরো ধান ক্ষেতের আইলের পাশে গঁলায় ধারালো ছুরিকাঘাতে নিহত তাজমীরার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তাজমীরার মেয়ে এইচএসসি’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তামান্না জানান, সোমবার রাতের খাবার খেয়ে আব্বা এক রুমে ও আমি ও মা অন্যরুমে ঘুমিয়ে পড়ি। মা কখন ঘর থেকে বের হয় তা জানিনা। পারিবারিক সুত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক মাত্র ৭ শতক জমি নিয়ে নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লাহ মীর ও তার চাচাতো ভাই কামরুল মীর গংরা নির্বাহী কোর্টে পাল্টা-পাল্টি ১৪৪ ধারার মামলা করলে পুলিশ নোটিশ জারি করেছেন। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একাধিকবার সালিশী সভা হলেও কোন সমাধান হয়নি। তাজমীরা হত্যা মামলার মোটিভ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানা হেফাজতে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মীর শহিদুল্লাহ ও মফিজুল গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিহতের ভাসু’র শহিদুল্লাহ মীর জড়িত থাকার কথা বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।