জন্মভূমি রিপোর্ট : ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে খুলনার পাইকগাছায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের থেকে ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুরের পর থেকে ঝড়ো হাওয়া আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০নং মহা বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। একই সাথে জনসাধারনকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে এবং ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসা শুরু করেছে। উপজেলার ৬ টি পোল্ডারের ১১ টি স্থানে ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ন অবস্হায় রয়েছে । এর মধ্যে লস্করের আলমতলা ও গড়ইখালীর খুদখালী ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে পাইকগাছা-কয়রার ৬টি ইউনিয়ন। ক্ষতি হবে ফসলী জমি, মৎস্য ঘের, ঘরবাড়িসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।
আজ রোববার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের লোকজন গড়ইখালীর খুদখালী ওয়াপদার ক্ষতিগ্রস্থ ভেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসলে তাৎক্ষণিক এলাকার শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে সকালে উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ ভেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান,আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে শুকনো খাবার মজুদ আছে। যা প্রায় ১০ হাজার লোকজনকে ৫/৬ দিন খাওয়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী আরো খাদ্য পাওয়া যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন জানান,ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলায় সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, উত্তরন, নবলোকসহ কয়েকটি বে-সরকারি সংস্থা মাঠে কাজ করছে। লস্করের আলমতলা ও গড়ইখালীর খুদখালীতে ঝুকিপূর্ন বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। আর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আসা শুরু হয়েছে।সর্বোপরি তিনি সকলকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।