
পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে উত্তর গড়ের আবাদ সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে নৌর নদীর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্কারের অভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চলাচলের। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেখার কেউ নেই। এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরজমিনে দেখা যায়, জেলা বা উপজেলা সদরে যেদিকে যাক উত্তর গড়েরআবাদ গ্রামের মানুষ একমাত্র সহজ রাস্তা পূর্বগজালিয়া। সহজে যাতয়াতের জন্য প্রতিদিন প্রায় শত শত মানুষ ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে পূর্ব গজালিয়া ডাবল ইটের রাস্তা উঠে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় এবং বর্তমানে বৃষ্টির সময় হওয়ায় আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী।
গ্রামের অনেক গাড়ী চালক মটরভ্যান, নসিমন, করিমন, পাঁকা রাস্তার উপর, কখনও অন্যের বাড়িতে গাড়ি রেখে সাঁকোপার হয়ে বাড়ী ফিরে। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামটিতে দুই হাজারের বেশি লোকের বসবাস। গ্রামটিতে নেই কোন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গ্রামে রয়েছে ৪টি জামে মসজিদ, ২টি ঈদগাঁ, ২টি কওমি মহিলা মাদ্রাসা। গ্রামের কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রী পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেতে সহজ পথ বাঁশের সাঁকো তা এখন মরণ ফাঁদ হয়ে পড়েছে । শুকনো মৌসুমে স্কুল শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বাদুড়িয়া ব্রীজ হয়ে, অথবা চৌহমুনি বাজার ঘুরে আধা কিলোমিটার পথ হেটে স্কুলে যেতে হয়। নৌরনদী উপর অত্র এলাকার একমাত্র অবলম্বন বাঁশের সাঁকো নষ্ট হওয়ায় পারাপারে বিপাকে পড়ছে কয়েক শতাধিক মানুষ। স্থানীয় রুহুল কুদ্দুস বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের মাটির রাস্তাটি চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। দুর্ভোগে এড়াতে নদীর উপর সাঁকো পার হয়ে চলাচলে সহজ হয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে মসজিদের সামনে বাঁশের সাঁকোটি গ্রামের মানুষের সহযোগীতায় প্রথমে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। ২ থেকে ৩ বছর যেতে না যেতে সাঁকো নষ্ট হয়ে পড়ে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবু আমলে সরকারি বরাদ্দে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস ঢালী কিছু পাকা পিলার ও কাটের তকতা দিয়ে নির্মাণ করলে ৩ বছরে মধ্যে সাঁকোটি আবার নষ্ট হয়ে যায়। পুনরায় স্থানীয় মানুষের সহযোগীতায় কোন রকম সংস্কার করলে তা বর্তমানের বাশেঁর সাঁকোটি পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।স্থানীয় কাশেম সরদার বলেন, গ্রামের মানুষের সহযোগীতায় কয়েক বার সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্ত পানিতে ২ – ৩ বছরের মধ্যে আবার নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য এখানে সরকারি ভাবে ব্রীজ নির্মাণ করার দাবি জানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল সরদার বলেন,
নদীর উপর বাঁশের সাঁকো নষ্ট হওয়ায় এলাকার মানুষ পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ে। আমি পরিষদের চেয়ারম্যান কে এবিষয়ে অবহিত করলে তিনি বলেন এই মুহূর্তে পরিষদে তেমন কোন বরাদ্দ নাই। পৌষ মাসে নতুন বাজেটে ওখানে টেকসই সাঁকো নির্মাণ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব জানান, আপনার মাধ্যমে অবহিত হলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি আবেদন করলে সেতু প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হবে। এব্যাপারে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ।