পাইকগাছা : পাইকগাছায় আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধিদের সহয়তায় বাল্য বিয়ের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলাটি করেছেন উপজেলার গড়ইখালী ইউপি’র শান্তার বাসিন্দা ওমান প্রবাসি জুম্মান জোয়াদ্দারের স্ত্রী ও ভিকটিমের মা পারভিন বেগম। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার পুর্বক শারিরিক পরীক্ষা শেষে সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। থানার মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গড়ইখালী শান্তার ওমান প্রবাসি জুম্মান জোয়াদ্দারের ১০ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে লস্কর ইউপির খড়িয়া ফুফুর বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করেন। এ পর্যায়ে সে খড়িয়ার আনিছুর রহমানের ছেলে রফিকুলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।এর জের ধরে অভিযোগ উঠেছে চলতি ৮ ফেব্রুয়ারিতে দু’ স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে এ্যাডঃ ইদ্রিসুর রহমান মন্টুর বাড়ীতে ফেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ অনেকের উপস্থিতিতে বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে। পরে পাইকগাছার আইনজীবী সমিতিতে পাবলিক নোটারিয়ান এ্যাডঃ সমির কুমার বিশ্বাস বিবাহ রেজিঃ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুল ছাত্রীর মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে ৭/৩০ নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধিত-২০০৩ ধরায় থানায় মামলা করেন,যার নং-১৫,তাং ১৮ ফেব্রুয়ারী-২৩। এ মামলার গর্ভে এ্যাডঃ সমীর বিশ্বাস ও এ্যাডঃ ইদ্রিসুর রহমান মন্টু,মইদুল ইসলামের নাম উল্লেখ সহ রফিকুলকে ১ নং আসামী করে ও তার পিতা-মাতা, রাসেল মিস্ত্রী সহ অন্যদেরও আসামী শ্রেনীভুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান জানান,ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার পুর্বক তার শারিরিক পরীক্ষার পর সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জানাগেছে, ভিকটিম জবানবন্দিতে বিয়ের কলমা পড়াতে আইনজীবী ও চেয়ারম্যান-মেম্বরদের সহায়তার কথা বলেছেন। বাল্য বিয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে পাবলিক নোটারিয়ান এ্যাডঃ সমীর বিশ্বাস জানান, সহকর্মী এ্যাডঃ ইদ্রিসুর রহমান মন্টু তার ভাইঝি পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে বিয়ে রেজিঃ করে নেয়। বাদীর অভিযোগের বিষয়ে বিয়ে মানা না মানা তাদের ব্যাপার উল্লেখ করে এ্যাডঃ ইদ্রিসুর রহমান জানান, বিয়েতে জনপ্রতিনিধিরাও ছিল তবে দু’ পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসার প্রচেষ্টা চলছে এ প্রতিনিধিকে জানান। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার চেষ্টার কথা বলে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আইনজীবী বা জনপ্রতিনিধি যেই হোক বাল্য বিবাহে যারা জড়িত তাদেরকে এ মামলায় আসামী শ্রেনীভুক্ত করা হবে।