
পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বকুল গাছের চারা রোপন করেছেন বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী (৬৭)। বৃক্ষ প্রেমিক খ্যাত সিদ্দিক গাজী উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর ছেলে। এলাকায় সবাই তাকে চেনেন বকুল সিদ্দিক নামে। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারেও বেশি বকুলের চারা রোপন করেছেন তিনি। প্রথমে তিনি বিভিন্ন নার্সারী থেকে চারা কিনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপন করতেন। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নার্সারী গড়ে তোলেন। যদিও এলাকার লোকজন নার্সারীটি নষ্ট করে দেয়। এরপর আবারও অন্যের জমি ইজারা নিয়ে নার্সারী গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার নিজের ২ কাঠা জমিতে নার্সারী রয়েছে। ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইউএনও মিহির কান্তি মজুমদার তাকে কপিলমুনি কলেজে মালি পদে চাকুরি দেয়। এ চাকুরি প্রত্যাখ্যান করে বকুলের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দিক গাজী। বর্তমানে বিভিন্ন বিল থেকে বিরগুণি শাক সহ নানা রকমের শাক সংগ্রহ করে কপিলমুনি বাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি করে তিনি জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন। ২০১৫ সালে বকুল গাছ নিয়ে বিটিভি"র জনপ্রিয় "ইত্যাদি অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবং ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।সর্বশেষ সোমবার সকালে কয়েকটি বকুলের চারা নিয়ে উপজেলা পরিষদ সিদ্দিক গাজী হাজির হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিককে সাথে নিয়ে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে ওই চারা গুলো রোপন করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামার সিনিয়র সহকারি পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, সিএ উত্তম কুন্ড, দীপঙ্কর প্রসাদ মল্লিক,পেশকার ইব্রাহীম হোসেন, আনসার সদস্য প্রজয়, হানিফ, প্রসেস সার্ভার নাদিম শেখ, হিরন্ময়, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, আবুল হাশেম ও শাহারিয়ার কবির সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত