
পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছার চাঁদখালীতে ঘরবাড়ী ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল চাঁদখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজী বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালত পিবিআই’কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার আসামীরা হল চকবিষ্ণুপুরের গফুর শেখ তার স্ত্রী-মেয়ে, সাবুদ আলী মোড়ল সহ অনেকে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ১ জানুয়ারি সকালে গফুর শেখ তার পরিবার ও সাবুদ আলী সহ অনেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজীর ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় জমিতে বাঁধা টিনের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে সহায় সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এদিকে, গফুর শেখের মেয়ে সুবর্না বেগমের অনুরুপ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজীর স্ত্রী-মেয়ে সহ সকল আসামীদের জমিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দু’পক্ষের শুনানীন্তে বিজ্ঞ বিচারক অজ্ঞাতনামা সহ ১ হতে ১২ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হল চক বিষ্ণুপুরের মৃত. দেলবর সরদারের ছেলে মো. রহমত আলী সরদার (৫০), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজীর স্ত্রী ইসনেয়ারা বেগম (৪৫) দু’ মেয়ে মরিয়ম খাতুন (২১), আছিয়া খাতুন (১৯) মান্দার গাজীর ছেলে ফিরোজ গাজী (৫৫) রেজাউল মিস্ত্রী (৪৮) ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪০) মৃতঃ কওসার গাজীর ৩ ছেলে রাজ্জাক গাজী (৫০) জুলফিকার গাজী (৪৫) সাত্তার গাজী (৪৮) লুৎফর গাজীর ছেলে লতিফ গাজী (৫০) রাজ্জাক গাজীর ছেলে রহিম গাজী (২৫)। উল্লেখ্য, গত ২৯ তারিখে জমি দখল, মারপিট,ভাঙচুর সহ নানা অভিযোগ এনে চক বিষ্ণুপুরের গফুর শেখের মেয়ে সুবর্না বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সুবর্না জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মনছুর আলী গাজীকে জড়িয়ে আরোও বেশকিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে ” দলিল যার জমি তার” সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি করেছেন চাঁদখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজী ইসনোয়ারা দম্পত্তি। এ দম্পতি জানান গত ৯-২-২৩ তারিখে ৪৯০/২৩ নং কোবলা রেজি. দলিলে চকবিষ্ণুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত সরদারের কাছ থেকে ৯৯ শতক জমি ক্রয় করি। যার নামজারী ও কর-খাজনা পরিশোধ রয়েছে। এর পরেও গফুর শেখ বায়না পত্রের অবৈধ ভাবে কিছু ভদ্রবেশী কুচক্রী মানুষের ইন্ধনে আমার জমি দখলে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন গফুর শেখে আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করে নিজে আইনভঙ্গ করে আমার জমিতে পাঁকা স্থাপনা করার চেষ্টা করলে আমার জমিতে ইটের পাঁচালি দিয়ে টিনের ঘরবাড়ী বাঁধি। পরবর্তীতে ১ জানুয়ারী সকালে গফুর শেখ তার স্ত্রী-মেয়ে ও সাবুদ আলীরা লোকজন নিয়ে আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগ সম্বন্ধে গফুর শেখের পরিবার বলেন,বায়না পত্র মুলে আমরা এ জমিতে বসবাস করছি যা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। জানাগেছে, গফুর শেখ স্থানীয় রহতম সরদারের কাছ থেকে গত ২৪-৫-১৭ সালে ১৫৪৪ নং দলিলে ৯৯ শতক জমি ৩ মাস মেয়াদী বায়না পত্র রেজি. করেন। যা চকবিষ্ণুপুর মৌজার- বি,আর এস ৩২১ খতিযানের ৪৫৪, ৪৬২, ৪৭৬ দাগের ২ একর ১৩ শতক জমির মধ্যে ৯৯ শতক জমির রেকর্ডীয় মালিক রহতম সরদার। পরবর্তীতে রহমত সরদার এ জমি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজী ও তার স্ত্রীর কাছে কোবলামূলে রেজিঃ করে দেন। এর পর গত ১৮-৫-২৩ তারিখে-৩,৮৯৯৬/২৩ নং নামজারি মামলায় এ জমি তার নামে নামপত্তন হয়।