পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছার চাঁদখালীর মাছ বাজার স্থানান্তর নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম সরেজমিনে চাঁদখালী বাজার পরিদর্শন করেছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি চাঁদখালী বাজারের বটতলা যেখানে মাছ ব্যবসা চলছে সেই স্থান ও মাংস বাজার ঘেষা স্থানান্তরিত মাছের চার্ন্নির স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মনছুর আলী গাজী, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সরদার, ইউপি সদস্য মতলেব মালী, কাইয়ুম হেসেন, পরিষদ সচিব আব্বাস উদ্দীন, হাট ইজারাদার মহিউদ্দীন খান সহ বাজার ব্যবসায়ীরা। ইউএনও'র পরিদর্শনকালে মাছ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন কালের মাছ বাজার বটতলায় ব্যবসা পরিচালনা করার পক্ষে অনড় ছিলেন। অন্যদিকে, ইউপি সদস্যরা চার্ন্নিতে মাছ বিক্রির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। জানা গেছে, মাছ ব্যবসায়ীরা গত ২৫ এপিল চাঁদখালীর মুরগীর হাট ঘেষা সরু-গলিতে দুর্গন্ধময় পরিবেশে ও ভাঙাচোরা রাস্তার উপর স্থানীয় সহ বিভিন্ন স্থানের ৬০/৭০ মাছ ব্যবসায়ীদের বসার জায়গা হয় না। হাটবারে ভীড়ে ঠাসা মানুষ চলাচল করতে পারে না। এর ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দরখস্ত বটতলায় মাছ বাজার স্থানান্তর করেন। এদিকে, বটতলায় মাছ বাজার স্থানান্তরের বিরুদ্ধে চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ চেয়ে ৩০ এপ্রিল পাল্টা আবেদন করেন। তারা যুক্তি দেখান ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে বটতলায মাছের বাজার স্থায়ী হলে মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হবে ও পরিবেশেরও ক্ষতি হবে। ইউনিয়ন পরিষদের দাবির প্রেক্ষাপটে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বটতলায় বাজার বহু পুরাতন আমলের। বটতলা কোথায় ? আর ইউনিয়ন পরিষদ কোথায়? তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টা দাবি ও অভিযোগ শুনেছেন। তিনি মাছ বাজার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে উভয় পক্ষকে আশ্বাস্ত করে সিদ্ধান্ত জানানো পর্যন্ত অপেক্ষা থাকার কথা বলেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত