
জন্মভূমি ডেস্ক : আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) চেয়ারম্যান ইমরান খানের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (১০ মে) পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আবেদনের প্রেক্ষিতে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এনএবি ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করলে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্ততারের একদিন পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিও নিউজ। এছাড়া পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমরকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষা অধ্যাদেশ, ১৯৬০-এর ৩ নম্বর ধারায় কুরেশিকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কুরেশি ও উমরকে ইসলামাবাদে সচিবালয় থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার দল পিটিআই পাকিস্তানকে ‘অচল’ করে দেওয়ার ডাক দিয়েছে। নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে যাত্রা করারও পরিকল্পনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত দুটি প্রদেশে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানো হচ্ছে।
সর্বশেষ দফা বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা লাহোরে এক সেনা অধিনায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভকারীরা সেনা সদর দফতরের প্রবেশ মুখ অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার রাত হতেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড লড়াই চলছে। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার দ্বিতীয় দিনে পেশোয়ারে চারজন নিহত হয়েছে।