
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনায় জাতীয় পাট কনভেনশনের সফলতা ও ব্যর্থতা সম্পর্কে এক মূল্যায়ন সভা পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১১টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক এ্যাড কুদরত-ই-খুদা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এস এ রশীদ।
সভায় বলা হয়, আগামী ২ জুলাই সারাদেশে একযোগে ২৬টি রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের ৩ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এইদিনটি আমরা কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। ঐদিন খুলনার খালিশপুর, ফুলতলার ইস্টার্ণগেট, যশোরের রাজঘাটসহ সারাদেশে প্রতিবাদস্বরূপ মিলগেটে কালো পতাকা প্রদর্শন ও সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে নাগরিক পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির এই মূল্যায়ন সভায়, গত ১৭ জুন পাট কনভেনশনে পাটশিল্প, পাটকল রক্ষার্থে ও শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে ৭ দফা সম্বলিত ‘খুলনা ঘোষণা’ ঘোষিত হয়। ৭দফা ঘোষণায় বলা হয়, এই কনভেনশন পাট ও পাটশিল্পরক্ষা এবং বন্ধ সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় অবিলম্বে চালু করার দাবি ও আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, জনার্দন দত্ত নান্টু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, সুতপা বেদজ্ঞ, এইচ এম শাহাদাত, শেখ আবদুল হান্নান, কোহিনুর আক্তার কণা, আবদুল করিম, গাজী আফজাল হোসেন, আল আমিন শেখ, সনজিত মন্ডল, মোঃ নূরুল ইসলাম।
এই কনভেনশন শুধু বন্ধ সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করার দাবি করছে না, একই সাথে পাটকল-চিনিকলসহ সকল রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার এবং অর্থনীতির নিয়ামক খাত হিসেবে রাষ্ট্রীয়খাতের প্রসার ঘটানো ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের সক্ষমতার বিকাশ প্রশ্নটি উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছে। খুলনার খালিশপুর জুটমিল ও দৌলতপুর জুটমিল, সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিলএবং চট্টগ্রামের কেএফডি ও আরআর জুটমিলের শ্রমিকরা এখনও বকেয়া কোনো টাকা না পাওয়ায় এই কনভেনশন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অবিলম্বে এই ৫টি মিলসহ অন্যান্য মিলের শ্রমিকদের যাবতীয় বকেয়া পাওনা ঈদের আগে পরিশোধের জোর দাবি জানানো হয় এই কনভেনশনে।