বিজ্ঞপ্তি : ডুমুরিয়া-ফুলতলার পানিবন্দী মানুষের প্রাণ বাঁচাতে জলাবদ্ধ পানি জরুরিভাবে নিষ্কাশন এবং ত্রাণ ও পুর্নবাসন করতে হবে। তালতলী নদীর আড়বাঁধ ও স্লুইজ গেটের বাইরের খালের উপর খননকৃত মাটি অপসরণ করার বিকল্প নেই। কুলবাড়িয়া, চ্যাংমারী ও গোলাপদহা স্লুইজ গেটে নতুন কপাট স্থাপন এবং ১৬ নং পোল্ডারভূক্ত হুলোর গেট ও চাড়ি ভাঙ্গার গেট জরুরীভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন। ্্্্্্্্উচ্চমানের এক্সকেভেটর মেশিন ব্যবহারকরতে হবে। বিল ডাকাতিয়া হইতে আফিলগেটের পাশ দিয়ে ভৈরব নদীতে পানি যাবার নিমিত্তে খাল খননের মাধ্যমে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অসহায় মানুষদের জন্য জরুরীভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং ঘরবাড়ী , কৃষি ও রাস্তাঘাট পুনর্বাসনের ববস্থা গ্রহণ করতে হবে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগের আলোচনা সভায় বক্তারা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জনউদ্যোগ খুলনার উদ্যোগে খুলনা আর্ট স্কুল প্রাঙ্গণে ডুমুরিয়া- ফুলতলার মানুষ বাঁচাও-আটলিয়া,মাগুরাঘোনা ও বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধ পানি জরুরিভাবে নিস্কাষন এবং ত্রাণ ও পুর্নবাসনের দাবিতে আমাদের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ খুলনার আহবায়ক শিক্ষক নেতা মানস রায়। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মহানগর কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, বাসদের জনার্দন দত্ত নান্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, এ্যাড. আফম মুক্তাবুজ্জামান মুক্তা, জনউদ্যোগ যুব সেলের জয় বৈদ্য, লতা মন্ডল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে কৃষকেরা যাতে চাষ করতে পারে তারজন্য জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরার তালা ও যশোরের কেশবপুরের জলাবদ্ধ মানুষের পাশে সাহায্যে নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।