সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : দেবহাটার পারুলিয়া টু বড়শান্তা সড়কটির নির্মান ব্যয় ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ৩.৭১ কিলোমিটার পাকা সড়কটি নির্মাণ শেষ। অথচ সড়কটির পরিপূর্ণতা, নির্মাণশৈলী এবং পরিপূর্ণতা কেবলই অসম্পূর্ণতা নয় পরতে পরতে নিয়মহীনতা আর দূর্নীতির সুস্পষ্ট ছোয়া দৃশ্যমান। সরেজমিনে নির্মান শেষ হওয়া সড়কটির দুই অংশের ইট নুয়ে পড়ছে। দশ ফুট চওড়া সড়কটির কোন কোন অংশ আট হতে সাত ফুট প্রশস্ত এখানেই শেষ নয় ইটের সড়কটিতে দৃশ্যমান ইটের অধিকাংশই এক নম্বর ইট নয়। নিয়মানুযায়ী বালু ভরাট পরবর্তী ইট বিছানো কিন্তু ভূগর্ভস্থ হতে উত্তোলন করা কাটা মিশ্রিত বালুর উপর ইট সোলিম করা হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী আক্তার ঢালী এ প্রতিনিধিকে জানান ইটের নিচের সর্বঅংশে বালু দেওয়া হয়নি। সড়কের দুই ধারের অন্তত এক ফুট এলাকায় বালু ফেলা হয়নি, ইট উঠালে এর সত্যতা প্রমান হবে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। দশ ফুট পাকা ইট বিছানো এবং পাশর্^বর্তী দুই ধারে চার ফুট করে মাটি ভরাটের বিধান দীর্ঘ ৩.৭১ কিলোমিটারের সর্বত্র অনুপস্থিত। ইটের পরে কোথাও এক ফুট আবার কোথাও তার কম বেশি। দেবহাটার পারুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা বড়শান্তা, ছোট শান্তা, নাজিরের ঘের, পাশর্^বর্তী উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম এই সড়কটি নির্মানেল দাবী ছিল দীর্ঘ দিন যাবৎ। জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণ হলেও সড়কটি নির্মানে অনিয়ম, দূর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারনে স্থায়িত্ব ও নির্মাণ কাঠামো নিয়ে সংশয় স্পষ্ট। নির্মিত সড়কটি দৃশ্যতঃ ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। দুই পাশে মাটির স্তর না থাকায় পাশর্^বর্তী চিংড়ি ঘের, ডোবা-নালা পড় পড় পরিস্থিতি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার রফিকুল ইসলামকে যথাযথ নিয়মে কাজ করার আহবান জানালেও তা কর্ণপাত করেনি। দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সাইফ বরাবর অনিয়মের বিষয়ে উত্থাপন করলেও তার প্রতিকার পায়নি বা নিয়মানুযায়ী সড়ক নির্মান কাজ হয়নি। সড়কটির নির্মানে নিয়ম না মানা, অসম্পূর্ণতা বিষয়ে জানার জন্য প্রকৌশলী সাইফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ০১৭২০-৯০২৯৫৭ নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।