ক্রীড়া প্রতিবেদক : ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় অনেকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে। গত মাসেই যেমন আইসিসির কাছ থেকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন নাসির হোসেন। এতে করে তাঁর ক্যারিয়ারও এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
নাসিরের মতো যেন অন্যদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার হুমকির মুখে না পড়ে পিএসএলে সেই বার্তাই দিয়েছে আইসিসির অ্যান্টি–করাপশন ইউনিট (আকসু)। চলমান পিএসএলে ফিক্সিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। ফিক্সিংয়ে জড়িত হতে কারা উৎসাহ দিতে পারেন এমন সন্দেহজনক চারজনের একটা তালিকাও করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সেই তালিকায় বাংলাদেশের একজনের নাম আছে বলে জানিয়েছে পিসিবি। বাকি তিনজন হচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক আঞ্চলিক ক্রিকেট কোচের সঙ্গে ভারতের দুজন। চারজনের ছবি দেখিয়ে খেলোয়াড়সহ কোচিং স্টাফদের তাঁদের কাছ থেকে দূরে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে কারও নাম এখনো প্রকাশ করেনি পিসিবি। কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বুকিরা যদি যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের রিপোর্ট করতে হবে। বিশেষ করে ২৫,০০০ হাজার পাকিস্তানি রুপির বেশি উপহার গ্রহণ করার প্রস্তাব দিলে।
পিএসএলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা যে হোটেলে অবস্থান করছেন সে সব হোটেলে সাধারণ মানুষেরও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পিসিবি পুরোপুরি হোটেলগুলো নিয়ন্ত্রণে নেয়নি। তাই খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে ভক্ত বা অন্য কিছুর ছদ্মবেশে থাকা বুকিদের। বুকিদের কাছ থেকে খেলোয়াড়দের দূরে রাখতেই বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পিসএসলের নবম আসর এখনো পাঁচ দিন অতিক্রান্ত না হলেও টুর্নামেন্টে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা নতুন নয়। এর আগে থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে কালো অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। ২০১৭ পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের তদন্ত শুরু করা পিসিবি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে বরখাস্ত করেছে। বরখাস্ত হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন শারজিল খান, নাসির জামশেদ ও মোহাম্মদ ইরফান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত