
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘যারটে, তা কিছুটা হলেও বটে।’ প্রচলিত কথাটির সত্যতা মিলল লিওনেল মেসির বেলাতেও। সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালে যাচ্ছেন তিনি। চলতি মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়ছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তির যতটুকু আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল, তাও নাকি সম্পন্ন হয়ে গেছে। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে মঙ্গলবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম।
চলতি মৌসুম শেষে পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হবে। নানা বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় দুই পক্ষই যখন চুক্তি নবায়নে অনাগ্রহী, তখন আগ্রহ দেখায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি ও সৌদি ক্লাব আল-হিলাল। সৌদি প্রো লিগের দল আল-হিলাল লিওনেল মেসির জন্য বসে ছিল অঢেল অর্থ নিয়ে। ব্যাপারটা এমন, অর্থ কোনো ব্যাপার নয়। শুধু মেসির হ্যাঁ বলার অপেক্ষা। মেসি হ্যাঁ বলেছেন, অবশেষে আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হলো।
মেসিকে নিলে যে অর্থের অঙ্কটা সবচেয়ে বেশি হবে, সেটি নিয়ে কারও ন্যূনতম সন্দেহ ছিল না। চুক্তির অঙ্কটা যে কারও চোখ কপালে তুলবে। মেসিকে বছরে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দিবে আল-হিলাল। বাংলা টাকায় রূপান্তর করলে যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় চার হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে পিএসজির অনুমতি না নিয়েই মেসি সৌদি আরব সফরে যান। দেশটির পর্যটনদূত হিসেবে গত বছর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আছেন তিনি। এতে মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে পিএসজি। মেসি সৌদিতে থাকার সময় বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফেব্রিজিয়ো রোমানো তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে মেসি ও আল-হিলালের চুক্তি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, ‘মেসিকে বছরে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে আল-হিলাল এবং সেটি আরও এক মাস আগেই।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসেরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আল-হিলাল নজর দিয়েছে মেসির দিকে। এই চুক্তির সঙ্গে কেবল আল-হিলাল কর্তৃপক্ষ নয়, জড়িয়ে আছেন সৌদি প্রো লিগ কর্তৃপক্ষও। কারণ, যে ক্লাবেই মেসি খেলুক, লাভটা তো পুরো সৌদি ফুটবলেরই।