পিরোজপুর প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো পিরোজপুরের এক যুবককে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ১৭ বছর বয়সী আহত ওই যুবক মোঃ ফরিদ শেখ (লামিম) পিরোজপুর সদরের টোনা গ্রামের ইলিয়াছ শেখ ও সালমা বেগমের পালিত পুত্র। রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে টোনা গ্রামের গোপেরহাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালমা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় এজাহার দিয়েছে। আসামীরা হলো-পিরোজপুর সদরের রাজারকাঠী গ্রামের নাছির কাজীর ছেলে রাকিব কাজী, শহীদ হাওলাদারের ছেলে রুপম হাওলাদার, মোতাহার কাজীর ছেলে নাজির কাজী, ছিদ্দিক সিকদারের ছেলে শাকিল সিকদার ও শাকিল সিকদারের ছেলে সিয়াম সিকদার। এজাহারে অভিযোগ করা হয় মামলার ১নম্বর আসামী রাকিব কাজীর সাথে আহত ফরিদ শেখের সাথে গত রোজায় টোনা গ্রামের মসজিদে বসে কথা কাটাকাটি হলে উপস্থিত মুসল্লীরা মিমাংশা করে দেয়। কিন্তু রাকিব ফরিদের উপর ক্ষিপ্ত থেকে রোববার রাতে টোনা ইউনিয়নের গোপেরহাট নামক এলাকায় তাকে একা পেয়ে অন্য আসামীদের সাথে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সোবাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।