জন্মভূমি রিপোর্ট : খালিশপুর তৈয়্যেবা কলোনী নিবাসী ও সরকারি হাজি মোহাম্মদ মোহাসিন কলেজ থেকে একাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে ডিগ্রীতে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় হাসিবুর রহমান নিয়াজ হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষীদের আসামীরা জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের হুমকির ভয়ে আদালতে আসতে সাহস পাচ্ছেনা। ফলে মামলা পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত হাসিবুর রহমান নিয়াজের পিতা মো. হাবিবুর রহমান শিকদার। গত ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টায় খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে একটি কার্টস এন্ড কফি হাউজের সামনে আমার পুত্র হাসিবুর রহমান নিয়াজ কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্রিকেট খেলা শেষ করে গল্প করছিল। তখন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার সৈকত, অন্তু, আরাফাত, মেহেদী হাসান রাব্বি, সাজ্জাদ, হৃদয়, সাইফুল, মোস্তাক, আতাং বাবুসহ আরও ১০-১৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাসিবুর রহমান নিয়াজকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা এবং তার বন্ধু মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জোবায়ের হোসেন ও মোঃ রানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে জোবায়ের ও রানা মারা গেছে মনে করে আসামীরা উল্লাস করতে করতে চলে যায়। ঘটনাটি দোকানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড করা রয়েছে। এঘটনায় ওই দিন আমি বাদি হয়ে খালিশপুর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। যার নং-১৭। সম্মেলনে তিনি বলেন, পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করার পর তারা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদী, সাক্ষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে ও আদালতে সাক্ষী না দিতে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে। আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছি। আমরা মামলা পরিচালনার জন্য আদালতে যেতেও ভয় পাচ্ছি। মামলা চলাকালীন সময়ে সাক্ষীরা যাতে আদালতে সাক্ষী না দেয় তার জন্য আসামীরা সাক্ষীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হত্যার পরিকল্পনা করছে। এঘটনায় মামলার সাক্ষী তৌফিক ইসলাম সাক্ষ্য দেওয়ার পর থেকেই আসামীরা তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। সাক্ষী তৌফিক ইসলাম এ ঘটনায় হয়ে গত ১৯ মে খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। যার নং-১০৬০। এই ঘটনার মূল হোতা এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামী অন্তুর মাতা খালিশপুর থানার মহিলা আওয়ামী নেত্রী শিখা। সে এই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সাক্ষীদের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি পুত্র হাসিবুর রহমান নিয়াজের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য জামিনপ্রাপ্ত আসামীদের জামিন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এ সময় নিহত হাসিবুর রহমান নিয়াজের মা নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।